আরামবাগে সভার অনুমতি পেলেন না বুদ্ধদেব
ফের রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠল প্রশাসনের বিরুদ্ধে। গৌতম দেবের পর এবার রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে সভা করার অনুমতি দিল না প্রশাসন। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর আরামবাগের রবীন্দ্রভবনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দলীয় কর্মীসভা করার কথা ছিল।
ফের রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠল প্রশাসনের বিরুদ্ধে। গৌতম দেবের পর এবার রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে সভা করার অনুমতি দিল না প্রশাসন। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর আরামবাগের রবীন্দ্রভবনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দলীয় কর্মীসভা করার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী গত ২১ জুলাই এবিষয়ে প্রশাসনের অনুমতি চেয়ে সিপিআইএমের পক্ষ থেকে দরখাস্তও করা হয়। তবে কর্মীসভার জেরে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, এই কারণ দেখিয়ে সভার অনুমতি বাতিল করে দিয়েছেন আরামবাগের এসডিও।
বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার সিপিআইএমের হুগলি জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী মহাকরণে স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে দেখা করেন। দলীয় সদস্যদের নিয়ে বন্ধ দরজার আড়ালে কর্মীসভা করলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি কীভাবে হতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আগামী পয়লা অক্টোবর ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে ২১ জুলাইয়ের পাল্টা সভা করার ডাক দেন গৌতম দেব। কিন্তু সভার অনুমতি চেয়ে লালবাজারে আবেদনপত্র জমা দিতে গেলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। গোটা বিষয়টিই স্বরাষ্ট্র সচিবকে জানান সিপিআইএম নেতা অমিতাভ নন্দী এবং নেপালদেব ভট্টাচার্য। স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের লালবাজারে গিয়ে যুগ্ম কমিশনারের কাছে ফের আবেদনপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু জয়েন্ট সিপি হেডকোয়ার্টার জাভেদ শামিম তাঁদের জানিয়ে দেন সভা করার অনুমতি দেওয়ার এক্তিয়ার নেই তাঁর। পুলিস কমিশনার এদিন লালবাজারে না থাকায় তাঁর কাছে আবেদন পত্র জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিআইএম নেতৃত্ব।
রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বারবার সভা করার অনুমতি চেয়েও পাচ্ছে না। প্রশাসনের এই ভূমিকায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সিপিআইএম নেতৃত্বের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের নির্দেশেই এই ধরনের পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কলকাতা পুলিস।