কর ছাড়ের প্রস্তাবেও সাড়া নেই পুরবাসীর, আতান্তরে পুরসভা
সম্পত্তি কর আদায়ে পুরসভার তরফে চালু করা হয়েছে ওয়েভার স্কিম। ওয়েভার স্কিমে সম্পত্তির মালিকদের ক্ষেত্রে বড় অংশের কর ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছে পুরসভা। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে কর দেওয়ার সময়সীমা শেষ হচ্ছে।
সম্পত্তি কর আদায়ে পুরসভার তরফে চালু করা হয়েছে ওয়েভার স্কিম। ওয়েভার স্কিমে সম্পত্তির মালিকদের ক্ষেত্রে বড় অংশের কর ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছে পুরসভা। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে কর দেওয়ার সময়সীমা শেষ হচ্ছে। কিন্তু সেই ওয়াভার স্কিমে এখনও বকেয়া করের পরিমান ২৫৫১ কোটি টাকা। প্রচুর ছাড়ের কথা ঘোষণার পরেও এখনও কর দেননি বেশিরভাগ বড় করদাতারাই।
বড় অংশের ছাড়ে করদাতারা মোটা অঙ্কের বকেয়া কর দিতে বেশি আগ্রহী হবে বলেই ভেবেছিল পুরসভা। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০১২ মধ্যে নাগরিকরা তাদের বকেয়া কর মিটিয়ে দিলে সুদের ওপর ৯৫ শতাংশ ও জরিমানার ওপর ৯৯ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল ওয়েভার স্কিমে। পুরসভার অ্যাসেসমেন্ট বিভাগের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওয়েভার স্কিমে জমা পড়েছে ৪৯ কোটি টাকা। এক থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত যাদের কর বাকি তারাই টাকা মিটিয়েছে। ৩০৫ জন মোটা অঙ্কের করদাতাদের বকেয়া করের মোট পরিমাণ ৯০৬ কোটি টাকা। এদের মধ্যে কর জমা দিয়েছেন মাত্র ২ জন। এই অবস্থায় ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সর্বসাকুল্যে আর ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকা উঠতে পারে বলে মনে করছে পুরসভা।
পুরসভার ভাঁড়ে মা ভবানী দশায় দৈনন্দিন কাজকর্ম সচল রাখতে কর আদায়ই যেখানে ছিল একমাত্র ভরসা। শেষসময়ে বকেয়া করের অর্থ পাহাড়প্রমান হয়ে থাকায় আগামী দিনে পুরসভার উপার্জনের পথ কি হবে তানিয়েও কোনও স্পষ্ট উত্তর নেই পুরসভার কাছে। যদিও মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় মনে করছেন ওয়েভার স্কিম থেকে টাকা উঠে আসবে। তবে মেয়র আশাবাদী হলেও ওয়েভার স্কিম কর আদায়ে আদৌ কতটা সফল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।