পাড়ুই মামলায় শুনানি শেষ, এবার রায় ঘোষণার পালা

পাড়ুই মামলার শুনানি শেষ হল কলকাতা হাইকোর্টে। শীঘ্রই এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। প্রায় এক বছর ধরে পাড়ুইকাণ্ডের শুনানি চলেছে আদালতে।

Updated By: Sep 11, 2014, 08:08 PM IST
পাড়ুই মামলায় শুনানি শেষ, এবার রায় ঘোষণার পালা

ওয়েব ডেস্ক: পাড়ুই মামলার শুনানি শেষ হল কলকাতা হাইকোর্টে। শীঘ্রই এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। প্রায় এক বছর ধরে পাড়ুইকাণ্ডের শুনানি চলেছে আদালতে।
গত বছর পঞ্চায়েত ভোটে বীরভূমের পাড়ুইয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হৃদয় ঘোষ নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে  দাঁড়ান। এরপরই খুন হন তাঁর বাবা সাগর ঘোষ। এই হত্যাকাণ্ডে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সহ ৪১জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর নাম জড়িয়েছে ।

প্রথমে সিআইডি এবং তারপর হাই কোর্টের নির্দেশে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে। তবে তদন্তে খুশি নন নিহতের ছেলে সাগর ঘোষ। অভিযুক্তরা শাসক দলের হওয়ায় পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সিবিআই তদন্তের দাবি  জানিয়েছেন তিনি। আপাতত আদালতের রায়ের অপেক্ষায় নিহতের পরিবার।

এদিকে, মঙ্গলকোটে খুন হওয়া তৃণমূল কর্মী আজাদ মুন্সিকে চিনতেন অনুব্রত মণ্ডল। এমনটাই দাবি তাঁর ভাই অঞ্জন মুন্সির। যদিও নিহত তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে তাঁর কোনও পরিচয় নেই বলে দাবি করেছেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু অঞ্জন মুন্সির বক্তব্য, খুন হওয়ার আগে চব্বিশ দিন ধরে বোলপুরে তৃণমূলের অফিসেই ছিলেন আজাদ। CCTV ফুটেজেও তার প্রমাণ পাওয়া যাবে বলে দাবি করেছেন তিনি।

কিন্তু আজাদ মুন্সি নামে কারো সঙ্গে অনুব্রতর পরিচয় নেই। মঙ্গলকোটে খুন হওয়া দলেরই এক কর্মী সম্পর্কে এই মন্তব্য করেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু তাঁর দাদা অঞ্জন মুন্সির দাবি, খুন হওয়ার চব্বিশ দিন আগে থেকেই তাঁরা বোলপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে ছিলেন। তাঁর দাবির সত্যতা যাচাইয়ে ওই অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন নিহত আজাদ মুন্সির দাদা।

খবর দেওয়া হয় পুলিসে। পুলিসের সাহায্যে মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি নিখোঁজ তৃণমূল কর্মী আজাদ মুন্সির বলেই সনাক্ত করা তাঁর পরিবার। বুধবার বর্ধমান পুলিস মর্গে দেহের ময়নাতদন্তও হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই তদন্তে গতি আসবে বলে দাবি পুলিসের।

.