Partha Chatterjee: জেলে 'অ্যাসিস্ট্যান্ট' চান! বিচারকের কাছে আর্জি পার্থর
বছর ঘুরে গেল! গত বছর ২২ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পরের দিন, ২৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে।
পিয়ালী মিত্র: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন অধরা এখনও। জেলে অ্য়াসিস্ট্যান্ট চেয়ে এবার বিচারপতির কাছে আর্জি জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়! আদালতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সওয়াল, 'আমার শরীর ভালো যাচ্ছে না, অ্যাসিস্ট্যান্ট থাকলে ভালো হয়'। ১৯ অগস্ট পর্যন্ত পার্থকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: Jadavpur University: যাদবপুরে কড়াকড়ি, বসছে সিসিটিভি, পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক
বছর ঘুরে গেল! গত বছর ২২ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পরের দিন, ২৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে। মুক্তি পাননি এখনও। কেন? পার্থর জামিন চেয়ে এদিন আদালতে জোর সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী।
শুনানিতে তিনি বলেন, 'গত বছর ১১-১২ জনের সামনে এনেছে সিবিআই। তাহলে কি সিবিআই বলতে চায়, শুধু ওই ১১-১২ জনই গোটা কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত? পার্থবাবু ২০১৪ সালে মে মাসে মন্ত্রী হয়েছিলেন, সুবীরেশের নিয়োগ তার আগে। এসএসসি স্বশাসিত সংস্থা। মন্ত্রীর কোনও ভূমিকা থাকে না। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, দফতরের সচিব আর মন্ত্রীসভাই সবটা ঠিক করে'।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট জমা পড়েছে আদালত। সেই চার্জশিটের অংশ তুলে ধরে পাল্টা সওয়াল করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তাঁর দাবি, 'নাকতলার বাড়িতে বসেই তালিকা তৈরি করতেন পার্থ। বাড়ির নিচেই অফিস বানিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই পাঠানো হত তালিকা। সুবীরেশকে বাড়িতে ডেকে তালিকা দিতেন পার্থ। গোটা পরিকল্পনাটা বাস্তবায়িত করার জন্যই সুবীরেশকে পদে বসানো হয়েছিল'।
আদালতে শুনানি তখন শেষের মুখে। বিচারকের কাছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর্জি জানান, 'আমার শরীর ভালো যাচ্ছে না, অ্যাসিস্ট্যান্ট থাকলে ভালো হয়'। বিচারক বলেন, 'সেটা জেল কর্তৃপক্ষ ঠিক করবে'। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর পাল্টা সওয়াল, 'আপনি বলে দিলে হয়ে যাবে'। যদিও তাতে আমল দেননি বিচারক।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? সিপিএম নেতা, আইজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'আইনে তো এসবের অনুমোদন নেই। তাঁর যদি অসুস্থতা থেকে থাকে, তাহলে জেল কর্তৃপক্ষই জেলের চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করাবেন। কিংবা প্রয়োজন মনে করলে, অন্য় কোনও চিকিৎসকের সাহায্য নেবেন। এরকম ব্যক্তিগত অ্য়াসিস্ট্যান্টের কোনও আইনি বিধান আছে বলে আমার জানা নেই'।
বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা কটাক্ষ, 'ওনার আর আলাদা করে অ্যাসিস্ট্যান্টের কী দরকার! এই যে মানিকবাবু, কুন্তল এরাই তো অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলেন। সবাইকে তো মনে হয় এক জায়গাতেই রাখা হয়েছে। সেদিন বেশি দূরে নয়, যখন দেখা যাবে তৃণমূলের পুরো ক্যাবিনেটটাই জেলে ভিতরে থাকবে। আলাদা করে সহকারীর কী দরকার! একটু খাটাখাটুনি জেলে করুন, তাহলে আমার মনে হয় শরীরটা একটু ফিট হবে'।
আরও পড়ুন: বিপজ্জনক বাড়ি ধসে কলকাতায় মৃত্যু মহিলার
তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'এ বিষয়ে তো আমার প্রত্যক্ষ কোনও জ্ঞান নেই যে, জেলে রুলস রেগুলেশন কীভাবে চলে বা এইরকম আবেদন করা যায় কিনা, করার মতো সুযোগ আছে কিনা। একটা সময়ের পর বাড়ি থাকতে গেলেও মানুষের সাহায্য লাগে। এটা সর্বজনবিদিত। এখন সেজন্যই চেয়েছেন কিংবা সেটা অনুমোদন পাওয়ার মতো কিনা, এ বিষয়ে প্রত্যক্ষ জ্ঞান নেই'। তাঁর মতে, 'আইনের কাছে আবেদন করেছেন, সেটা আইন মোতাবেকই হবে। এই নিয়ে বিজেপি নেতারা নানারকম কথা বলবেন, এটা ঠিক না। বরং আইনের উপরই ব্যাপারটা ছেড়ে দিলে দেওয়া উচিত।