সরকারি কলেজে অধ্যক্ষের পদে আবেদন মোটে ২৭ জনের! জানালেন পার্থ চ্যাটার্জি

সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ পাওয়া যে ক্রমশই কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তা মেনে নিলেন শিক্ষামন্ত্রী। আজ বিধানসভায় তিনি জানান, গত দুবার অধ্যক্ষ নেওয়ার যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় তাতে মাত্র সাতাশ জন আবেদন করেন। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি হস্তক্ষেপের পক্ষেও, এদিন ফের সওয়াল করেন শিক্ষামন্ত্রী।

Updated By: Jun 29, 2016, 07:59 PM IST
সরকারি কলেজে অধ্যক্ষের পদে আবেদন মোটে ২৭ জনের! জানালেন পার্থ চ্যাটার্জি

ওয়েব ডেস্ক : সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ পাওয়া যে ক্রমশই কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তা মেনে নিলেন শিক্ষামন্ত্রী। আজ বিধানসভায় তিনি জানান, গত দুবার অধ্যক্ষ নেওয়ার যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় তাতে মাত্র সাতাশ জন আবেদন করেন। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি হস্তক্ষেপের পক্ষেও, এদিন ফের সওয়াল করেন শিক্ষামন্ত্রী।

সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ পেতে এখন নাজেহাল দশা। পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে পৌছেছে, তা এবার স্পষ্ট করে দিলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রীই। বুধবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে মানস ভুঁইঞার এক প্রশ্নের জবাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের জন্য গত ২ বার পিএসসি-র মাধ্যমে নিয়োগের যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল, তাতে মাত্র ২৭ জন আবেদন করেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে,কেন অধ্যক্ষ পদের ক্ষেত্রে এত করুণ দশা? এই বিমুখতার কারণ কী? গত কয়েক বছরে রাজ্যে বহুবার শিক্ষক-অধ্যাপকরা প্রকাশ্যে হেনস্থার শিকার হয়েছেন। এই কারণেই কি অধ্যক্ষ পদের ভার নিতে অনীহা?

বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি হস্তক্ষেপের পক্ষেও, ফের এদিন সওয়াল করেন শিক্ষামন্ত্রী। এবার বিধানসভায় দাঁড়িয়েই। বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি হলে, সরকার হস্তক্ষেপ করবেই বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার যা টাকা দেয়, তা জনগণের টাকা। সেই টাকা ঠিকমতো পরিকল্পিতভাবে ছাত্রছাত্রীদের উন্নয়নে ব্যবহার না করা হলে হস্তক্ষেপ করা হবেই। বলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গতবছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক তছরূপের অভিযোগে সরকার হস্তক্ষেপ করে। তারপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীকারে হস্তক্ষেপ নিয়ে জোরালো বিতর্ক শুরু হয়।

.