Panchayat Election 2023: 'এটা কোনও কন্ট্রোল রুম নয় এটা হল একটা পিস রুম', রাজভবনে বললেন রাজ্যপাল
শাসকদলের তাকে সমালোচনা প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেছেন, ‘প্রত্যেকেরই নিজস্ব মত প্রকাশের অধিকার আছে’। তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে যে অভিযোগগুলোর উঠেছে সেই সমস্ত মানুষগুলোর একটা প্রতিকার দরকার সেই জন্যই এই কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে’।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে হিংসা। ভাঙড় ও ক্যানিংয়ে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনে এরপর খোলা হল কন্ট্রোলরুম। কেন? মানুষ যাতে অভিযোগ জানাতে পারে, সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত। শুধু তাই নয়, কন্ট্রোল রুমে যেসব অভিযোগ আসবে, সেই অভিযোগগুলি পাঠিয়ে দেওয়া হবে রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনে।
মনোনয়ন জমা হওয়ার পরেও অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ ওঠে হিংসার। বিরোধী প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করানোর জন্য নানা জায়গা থেকে চাপ আসার খবর পাওয়া গিয়েছে। এইরকমই অশান্তির খবর থাকলে, কোনও প্রার্থী বা রাজনৈতিক দল অভিযোগ জানাতে চাইলে এই পিস রুমে তা করতে পারেন। বাংলায় এই প্রথমবার রাজভবনে ভোটের সময় এই জিনিস করা হয়েছে। ইমেল এবং ফোনে জানানো যাবে সব অভিযোগ।
সোমবার সকালে রাজ্যপাল আসেন এই কন্ট্রোল রুমে। তিনি জানিয়েছেন, ‘এটা কোনও কন্ট্রোল রুম নয় এটা হল একটা পিস রুম। এখানে মানুষের অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে। ইনস্ট্যান্ট রেমেডি দেবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বহু কেসে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজভবন এমন একটা জায়গা হবে যেখানে মানুষ সমস্যায় পড়লে সমাধানের জন্য আসতে পারবে। ইলেকশন কমিশনের দায়িত্ব ইলেকশন করা কিন্তু ইলেকশন কমিশনারকে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল এক্ষেত্রে কারোর কাজে হস্তক্ষেপ করছেন না। রাজ্যপালের মূল দায়িত্ব হচ্ছে মানুষকে রক্ষা করা। আমি সেই কাজটাই করছি। আমি শাসক এবং শাসিতের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করছি’।
আরও পড়ুন: Haridevpur: জমি নিয়ে বিবাদ! ৭ বছরের শিশুকে সাপভর্তি কুয়োয় ধাক্কা জ্যেঠুর
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সকলে একসঙ্গে কাজ করছি। একজন আরেকজনের এলাকায় ঢুকে পড়ছে না। এখন নির্বাচনের সময় অনেক রকম সমস্যা তৈরি হতে পারে। একজন কাউকে থাকতে হবে যিনি এই সব মানুষদের সমস্যার কথা ধৈর্য ধরে শুনবেন। আমি কোনও ভ্যালু জাজমেন্ট করতে আসিনি। মৃত্যু নিয়ে যে অভিযোগ এসেছে সেই অভিযোগের তদন্ত করবে তদন্তকারী সংস্থা। আমি না। এই সময়টা হচ্ছে খুব ক্রিটিক্যাল সময়। এই সময় সমালোচনা দরকার নেই। এই সময় একসঙ্গে কাজ করার দরকার। ভোটের পরেও কোনও হিংসা হবে না। আমি তেমনটাই মনে করি। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাইকোর্ট অলরেডি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি হাইকোর্টের উপরে নই’।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: 'রাজ্যপালের কন্ট্রোল রুমে রাশি রাশি ফোন, তৃণমূল চাইছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক'
শাসকদলের তাকে সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘প্রত্যেকেরই নিজস্ব মত প্রকাশের অধিকার আছে’। তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে যে অভিযোগগুলোর উঠেছে সেই সমস্ত মানুষগুলোর একটা প্রতিকার দরকার সেই জন্যই এই কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে’।
রাজ্যপাল বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় পেশি শক্তি ব্যবহার করে মনোনয়নে বাধা দেয়ার যে অভিযোগ এসেছে আমি তা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখেছি তার মধ্যে সত্যতা রয়েছে। সেই জন্যই রাজভবনে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে আসলে কন্ট্রোল রুম হলো একটা ক্লিয়ারিং রুম যেখানে মানুষ নিজেদের অভিযোগ জানাবে’।
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, 'রাশি রাশি ফোন আসছে সেখানে। এদিন তিনি বলেন, গোলমাল হলে ফোন করে মানুষ জানাচ্ছে। বহু প্রার্থী ঘর ছাড়া, গ্রাম ছাড়া, অন্যত্র আছেন। তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এক প্রার্থীর আত্মীয় খুন হয়েছে। অনেকেই ভাবছে, সেন্ট্রাল ফোর্স এলে হয়তো এই ভয় কাটবে।'