পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী? বিতর্ক এখন আদালতে
রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না, সেই বিতর্ক এখন আদালতে। কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশন পুলিসি ব্যবস্থা নিয়ে তথ্য এবং পাল্টা তথ্য হাজির করেছে। দুই তথ্য থেকেই পরিষ্কার, শুধু রাজ্য পুলিস দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হলে প্রতি বুথে একজন পুলিসকর্মী রাখাও সম্ভব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না, সেই বিতর্ক এখন আদালতে। কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশন পুলিসি ব্যবস্থা নিয়ে তথ্য এবং পাল্টা তথ্য হাজির করেছে। দুই তথ্য থেকেই পরিষ্কার, শুধু রাজ্য পুলিস দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হলে প্রতি বুথে একজন পুলিসকর্মী রাখাও সম্ভব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বিঘ্নে পঞ্চায়েত ভোট করতে এক লক্ষ সত্তর হাজার নিরাপত্তারক্ষী প্রয়োজন। অন্যদিকে কমিশনের দাবি, এর মধ্যে আটশো কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দরকার। আদালতে সরকারের বক্তব্য, নির্বাচনের জন্য রাজ্য পুলিস, হোমগার্ড, মহিলা পুলিস সবমিলিয়ে ৫৫ হাজারের মত নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে রাজ্যের হাতে।
পঞ্চায়েত দফতর এক দিনে এগারোটি জেলায় ভোট ঘোষণা করেছিল। এগারোটি জেলায় পঞ্চায়েত ভোট মানে, ৪২ হাজার বুথে একসঙ্গে ভোটগ্রহণ হবে। এবং তার জন্যে রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সশস্ত্র এবং লাঠিধারী সব মিলিয়ে মোট নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা ৫৫ হাজার। অর্থাত্, একটি বুথে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে এক দশমিক তিন জন। উল্লেখযোগ্য ভাবে নির্বাচন কমিশনের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, প্রতিটি জেলার পুলিস সুপাররা কমিশনের কাছে যে তথ্য পাঠিয়েছেন, সেই অনুযায়ী ভোটের জন্য তিরিশ হাজার পুলিসকর্মী পাওয়া যাবে।
কমিশনের তথ্য অনুযায়ী বিয়াল্লিশ হাজার বুথের জন্য তিরিশ হাজার পুলিসকর্মী । অর্থাত্, প্রতি বুথে একজন করেও পুলিসকর্মী মোতায়েন করা সম্ভব নয়।