জমা জলে মাছ ধরতে গিয়ে বিপত্তি, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু, প্রশ্নের মুখে CESC
মৃত্যুর ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক, জানালেন ফিরহাদ হাকিম।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শহরে ফের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু। মৃতের নাম সুজয় মণ্ডল। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে পাটুলি থানা এলাকার এন ৩৬২ বিপি টাউনশিপে। সূত্রের খবর, একেই রাস্তায় জমা জল ছিল, তার মধ্যে বিদ্যুতের তার পড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে সিইএসসি-র ভূমিকা।
এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলেছেন কলকাতা কর্পোরেশনের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। সিইএসসি-কে এলাকার সমস্ত হুকিং কেটে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবক বিবাহিত। স্ত্রী অন্তঃস্বত্ত্বা। আজ বিকেলে ওই এলাকার জমা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কোনও ভাবে ঝুলন্ত তারের সংযোগে চলে আসেন। এরপরই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পাটুলি থানার পুলিস এবং সিইএসসি-র একটি দল। এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করা হয়। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে বাঘাযতীন হাসপাতালে পাঠায় পুলিস। সিইএসসির দাবি, ঘটনাস্থলে তাদের তিনটি লাইভ ওয়ার রয়েছে। সেগুলি ঠিক রয়েছে। কিন্ত আর্থ ওয়ার ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে। যদিও তা থেকে কারও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভবনা কম। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সংস্থার একটি টিম।
আরও পড়ুন: Narada মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আর্জি, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ Malay Ghatak
আরও পড়ুন: গোড়াতে ভোট-হিংসার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্য, চুপ করে বসে থাকতে পারে না: হাইকোর্ট
তবে এই ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে গত মাসে রাজভবনের সামনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত ঋষভ মণ্ডলের কথা। শহর কলকাতায় তারের যে জঙ্গল তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে বারবারই প্রশ্ন উঠেছে। বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদারকারী সংস্থার সিইএসসিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে সাধারণ মানুষ। ঋষভ মণ্ডলের ঘটনার পর বিদ্যুৎ চোরদের দায়ি করেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ চোরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কলকাতা পুলিশ এবং সিইএসসি (CESC)-কে নির্দেশও দেন তিনি।