তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বলি ১, অগ্নিগর্ভ ধাপা, খড়দহ

তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর সংঘর্ষে খাস কলকাতার বুকেই প্রাণ হারালেন এক তৃণমূল কর্মী। মৃতের নাম অধীর মাইতি। ধাপার মাঠের কাছে স্থানীয় বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহার সঙ্গে এলাকার তৃণমূল নেতা এবং ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শম্ভুনাথ কাউয়ের গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। আহতদের নীল রতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হচ্ছে। ঘটনায় অগ্নিগর্ভ অঞ্চল। পুরপিতা শম্ভুনাথ কাউয়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে মাঝপুকুরের কাছে রাস্তা অবরোধ করেছেন তৃণমূলও সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় র‍্যাফ নেমেছে।

Updated By: Mar 20, 2013, 12:57 PM IST

তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর সংঘর্ষে খাস কলকাতার বুকেই প্রাণ হারালেন এক তৃণমূল কর্মী। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তর চব্বিশ পরগনার খড়দহের পাতুলিয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
খড়দার পাতুলিয়া। তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। অভিযোগ, মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি এবং কয়েক রাউন্ড গুলিও  চলে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে।
জমি দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের বিধায়ক এবং কাউন্সিলরের সমর্থকদের সংঘর্ষের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ধাপার মাঠপুকুর এলাকা। সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী অধীর মাইতির। এই ঘটনায় অভিযুক্ত কাউন্সিলর শম্ভুনাথ কাউকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই পলাতক কাউন্সিলর শম্ভুনাথ কাউ।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার একটি খাটাল উচ্ছেদকে ঘিরে সংঘর্ষের সূত্রপাত। অভিযোগ, আজ সকালে আটান্ন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শম্ভুনাথ কাউএর সমর্থকেরা খাটাল উচ্ছেদে গেলে বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তৃণমূল কর্মী অধীর মাইতি। অভিযোগ, অধীর মাইতিকে রড দিয়ে পেটানো হয়। তার জেরেই মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল কর্মীর।
এর পরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বিক্ষোভ হয় স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয়ের সামনেও। শম্ভূনাথ কাউয়ের বিরুদ্ধে জমি দখল এবং বেআইনি প্রোমোটিংয়ের অভিযোগ এনেছেন বাসিন্দারা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশাল পুলিস বাহিনীর পাশাপাশি, মোতায়েন করা হয় র‍্যাফ।
খবর পেয়ে এলাকার বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়ে দেন, ওই এলাকায় জমি অধিগ্রহণের কোনও নির্দেশ দেয়নি কলকাতা পুরসভা। পরে দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান ঘটনাস্থলে গেলে তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়।
পুরপিতা শম্ভুনাথ কাউয়ের সঙ্গে বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা ও আরেক পুরপিতা জীবন সাহার গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের। এর আগেও পুকুর ভরাট, প্রোমোটিং সহ একাধিক বিষয় নিয়ে তাঁদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহু নির্দেশ সত্ত্বেও তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব যে অত্যন্ত প্রকট অধীর মাইতির মৃত্যুই তা প্রমাণ করে দিল।

.