ট্যাক্সির ডিকিতে মরা মুরগির মাংস, ছাঁট, নাড়িভুড়ি নিয়ে উত্তেজনা এনআরএসে

ক্যান্টিনের রান্নার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই তৎপর হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মরা মুরগির মাংস রান্নার কোনও প্রমাণ না মিললেও তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

Updated By: Sep 17, 2019, 12:55 PM IST
ট্যাক্সির ডিকিতে মরা মুরগির মাংস, ছাঁট, নাড়িভুড়ি নিয়ে উত্তেজনা এনআরএসে

নিজস্ব প্রতিবেদন: এনআরএস ক্যান্টিনের সামনে মরা মুরগি বোঝাই গাড়ি নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল হাসপাতাল চত্বরে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টা নাগাদ হাসপাতাল চত্বর থেকে একটি ট্যাক্সিকে বেরিয়ে আসতে দেখেন হাসপাতালের কয়েকজন কর্মী। সন্দেহ হতেই সেখানেই আটকনো হয় গাড়িটিকে।

তল্লাশি চালাতেই ট্যাক্সির ডিকি থেকে উদ্ধার হয় বস্তা ভর্তি মরা মুরগির মাংস-সহ, ছাঁট ও নাড়িভুড়ি। রোগীর পথ্যে কি তাহলে এমন অস্বাস্থ্যকর মাংস ব্যবহৃত হয়? প্রশ্ন ঘিরেই শুরু হয় চাপানউতর, চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন সুপার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার-সহ ডেপুটি সুপারও।

এরপর ট্যাক্সির লোকজকে নিয়ে যাওয়া হয় সুপারের ঘরে, ডেকে পাঠানো হয় ক্যান্টিনের কর্মীদেরও, চলে জিজ্ঞাসাবাদ। ট্যাক্সিতে থাকা লোকজনের দাবি, এনআরএসে জ্যান্ত মুরগী কেটেই টাটকা মাংস দেওয়া হয়েছে। এরপর বাকি মাংস তাঁরা এসএসকেএমে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পাশাপাশি ডিকিতে থাকা নাড়িভুড়ি, মাংসের ছাঁট চালকের ব্যক্তিগত প্রয়োজনেই কেনা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

এরপর ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। চলে আরও একদফার জিজ্ঞাসাবাদ, সত্যতা যাচাই করতে ফোন যায় এসএসকেএম ক্যান্টিনেও। দুই দিক খতিয়ে দেখে তারপরই ছাড়া হয় ট্যাক্সিকে। যদিও এখানেই থামেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অস্বাস্থ্যকর খাবারের কোনও প্রমাণ না মিললেও তৎপর হয়েছে তারা।

আরও পড়ুন: মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শৌচাগার থেকে উদ্ধার রোগীর ঝুলন্ত দেহ

রোগীর স্বাস্থ্য নিয়ে কোনওরকম আপস করতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ক্যান্টিনের কাঁচা মাংসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রান্না করা মাংসও পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রোগীদের খাবার মাংস কোথা থেকে, কীভাবে আনা হয়, তা সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত কিনা, যথাযথ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করা হয় কিনা এসবও খতিয়ে দেখ হচ্ছে। 

Tags:
.