নির্ধারিত সময়ে বেতন হল না রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশের
মাত্র দু মাসের ব্যবধানে দুবার নির্ধারিত সময়ে বেতন পেলেন না রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সরকারি কর্মীরা।
মাত্র দু মাসের ব্যবধানে দুবার নির্ধারিত সময়ে বেতন পেলেন না রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সরকারি কর্মীরা। গত তিনদশক ধরে রাজ্য সরকারি কর্মীরা নিয়মিত তিরিশ তারিখের মধ্যেই তাঁদের বেতন পেয়ে আসছেন। অভিযোগ স্বীকার করে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানিয়েছেন, বুধবার দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে নির্বাচন থাকায় এই সমস্যা। তাঁর আশ্বাস আগামিকালই কর্মীরা বেতন পেয়ে যাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠনের পর মাত্র ছমাস কেটেছে। এরমধ্যেই দু দুবার নির্ধারিত সময়ে বেতন পেলেন না রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের একাংশ। বুধবার ছিল নভেম্বর মাসের শেষদিন। সেক্রেটারিয়েটের অধীন প্রায় সাতহাজার কর্মচারীর বেতন আটকে গেল কার্যত সরকারি গাফিলতিতে। ঠিক পুজোর মুখে কয়েক হাজার কর্মচারী তিরিশ তারিখের মধ্যে বেতন না পাওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছিল রাজ্য সরকার। দুমাসের মধ্যে ফের ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বুধবার জানিয়েছেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নাশ্যানাল ক্লিয়ারেন্স হাউসের অফিস কলকাতার রডন স্ট্রিটে। বুধবার নির্বাচনের কারণে ওই অফিস বন্ধ ছিল। সেই কারণে যেসব ব্যাঙ্ক ওই ক্লিয়ারেন্স হাউসের আওতায় পড়ছে সেইসব ব্যাঙ্কেই কর্মীদের বেতন আটকে গেছে। একই ঘটনা ঘটেছে ওই এলাকায় অবস্থিত একাধিক ব্যাঙ্কের সার্ভিস ব্রাঞ্চেও। বেতন নিয়ে কর্মীদের মধ্যে সংশয় থাকলেও অর্থমন্ত্রীর আশ্বাস বৃহস্পতিবার তাঁরা বেতন পেয়ে যাবেন।