বৃষ্টিহীন দক্ষিণবঙ্গে খরার আশঙ্কা
দক্ষিণবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে খরা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। বর্ষার প্রথম একমাসে মৌসুমী বায়ুর গতিপ্রকৃতি দেখে এমনই আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। এ রাজ্যের তরাই-ডুয়ার্স অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি হলেও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। ফলে, কৃষি উত্পাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
দক্ষিণবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে খরা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। বর্ষার প্রথম একমাসে মৌসুমী বায়ুর গতিপ্রকৃতি দেখে এমনই আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। এ রাজ্যের তরাই-ডুয়ার্স অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি হলেও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। ফলে, কৃষি উত্পাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এ রাজ্যে খাদ্যশস্য সহ অন্যান্য কৃষিজ পণ্যের উত্পাদনের সিংহভাগই আসে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে। তাই, বর্ষার প্রথম একমাসে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি চিন্তা বাড়াচ্ছে। কৃষি উত্পাদন মার খেলে চড়া মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সাধারণ মানুষের পকেটের ওপর চাপ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা।
জুন মাসে গোটা রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতি ১৪ শতাংশ। দক্ষিণবঙ্গে এই ঘাটতির পরিমাণ ৪৩ শতাংশ বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। বৃষ্টিপাতের ঘাটতি সবচেয়ে বেশি নদিয়া জেলায়, ৫৯ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা। সেখানে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ৫২ শতাংশ। পূর্ব মেদিনীপুরে ৫০ শতাংশ বৃষ্টি কম হয়েছে। মুর্শিদাবাদে ঘাটতির পরিমাণ ৪৭ শতাংশ। উত্তর চব্বিশ পরগনায় ৪২ শতাংশ বৃষ্টি কম হয়েছে। কলকাতায় বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ২৯ শতাংশ। পশ্চিম মেদিনীপুরে ঘাটতির পরিমাণ ২৮ শতাংশ। পুরুলিয়ায় ঘাটতির পরিমাণ ২৭ শতাংশ। বর্ধমানে ২৩ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। হুগলিতে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ২১ শতাংশ।
বর্ষা নামার আগে সারা দেশে ১০২ শতাংশ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল দিল্লির মৌসম ভবন। বর্ষা নামার পর বাইশে জুন তাদের পূর্বাভাস বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে দাঁড়াবে ৯৯ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে, জুন মাসে, সারা দেশে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ২৯ শতাংশ। উত্তর-পশ্চিম ভারতে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ৬৯ শতাংশ। মধ্য ভারতে ৩৯ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ ভারতে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ২৯ শতাংশ। উত্তর-পূর্ব ভারতে ৫ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে।
ফলে, ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে সারা দেশে মৌসুমী বায়ু ছড়িয়ে পড়বে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।