Hiran: ছবি বিকৃত করা হয়েছে, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনা নিয়ে মুখ খুললেন হিরণ
গরিব, বঞ্চিত মানুষ পদ্মফুলে ভোটে দিয়ে আমাকে বিধানসভা পাঠিয়েছেন। তাদের হয়ে আমাকে বলতে হবে। গত ২ বছরে বহুবার আমার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা উঠেছে
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: গত ১০ জানুয়ারি বিজেপি বিধায়ক হিরণ ও রাজ্যের আরও এক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন। এমনই জল্পনা ছিল রাজনৈতিক মহলে। ফলে চাপা একটা শোরগোল ছিল বিজেপি ছাড়ছেন খড়গপুরের বিধায়ক হিরণ। সংবাদমাধ্যমের সেই জল্পনার জবাব দিলেন বিধায়ক হিরণ। তাঁর বক্তব্যের মূল বিষয় হল বহুবার এমন জল্পনা তৈরি হয়েছে কিন্তু তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও পরিকল্পনাই তাঁর নেই।
আরও পড়ুন-আস্ত শৌচাগার-ই 'চুরি'! হতভম্ব শহরবাসী, থানায় ছুটলেন দ্বারস্থ কাউন্সিলর
জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এনিয়ে হিরণ বলেন, গরিব, বঞ্চিত মানুষ পদ্মফুলে ভোটে দিয়ে আমাকে বিধানসভা পাঠিয়েছেন। তাদের হয়ে আমাকে বলতে হবে। গত ২ বছরে বহুবার আমার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা উঠেছে। বহুবার বিজেপি ছেড়ে নতুন করে ভোটে জিতে মন্ত্রী হওয়ার কথা উঠেছে। আমরাই বন্ধুবান্ধব যারা ভোটের আগে টিকিট নিয়ে লড়াই করেছিলেন এবং ভোটে হেরে তারা চলে গিয়েছিলেন। ২০২১ সালের ২ মে-র পর থেকে এসব হয়েছে। তাঁরা হয়তো ভেবেছিলেন ভোটে জিতে মন্ত্রী হবেন। কিন্তু তারা হরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কারণ তারা মনে করেন পশ্চিমবঙ্গে থাকতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেস করতে হবে। বিজেপি করলে সিনেমা করা যাবে। গ্রামেগঞ্জে গিয়ে প্রোগ্রাম করা যাবে না। করোনার সময়ে খড়গপুরে বিএইচপির অফিস থেকে মানুষের জন্য কাজ করেছি। বন্যার সময়েও কাজ করেছি। মানুষের বিশ্বাস অর্জন করেছি। বিজেপি ছাড়ার কোনও প্রশ্ন নেই।
ক্য়ামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে আপনাকে তৃণমূলে নেতা অজিত মাইতির সঙ্গে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। এরকমই একটি ছবি দেখা গিয়েছে। এটা কি কোনও বার্তা দেয় না? হিরণ বলেন, ওই ছবি সংবাদমাধ্যম তোলেনি। ধরে নিন কোনও গোপন মিটিং করতে গিয়েছেন। তাহলে কি আপনি কাউকে বলবেন আপনি ছবিটা তুলে রাখুন? এটা ডিজিটাল যুব, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সর যুগ। যে কোনও জিনিস যে কোনও ভাবেই করা যায়। কাল হয়তো দেখবেন আমরা হতে অন্য কোনও দলরে পতাকা রয়েছে। কিন্তু যতবারই দল ছাড়ার জল্পনা উঠেছে, যতবারই বলা হয়েছে আমি খড়গপুরের চেয়ারম্যান হয় গিয়েছি, আমার দলেরও লোক আমার বিরুদ্ধে সরবও হয়েছেন ততবারই আমি ট্যুইট করে তা খন্ডন করছি। এবার ধরুন আপনি কাউকে ডাকলেন, আপনি তাকে না জানিয়ে সেই ছবিটা তুলে রাখলেন। তিনি জয়েন করবেন কী করবেন না তার আগেই ছবিটা লিক করে দিলেন। তাই আপনি কাউকে জয়েন করাতে চাইছিলেন নাকি তাকে ডেকে এনে তাকে অপমানিত, লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেছিলেন।
তাহলে কী ভাবে ওই ছবি প্রকাশ পেল? এনিয়ে কিছু বলতে পারব না। ওই ছবিটি কবেকার? ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। ওই বছর জানুয়ারি পর্যন্ত সবার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও আমি ২০১৪ সাল থেকে গোটা রাজ্য ঘুরেছি। একই গাড়িতে গিয়েছে, একই হোটেলে থেকেছি। তখন তো অজিত মাইতি কে তা আমি জানতাম না। বিধায়ক হওয়ার পর অজিত মাইতির নাম শুনলাম। তাই ওইসব ছবির কোনও অর্থ হয় না। দল ছাড়াও প্রশ্ন নেই।