আগামী বছর থেকে কলকাতায় চালু হচ্ছে নতুন কর ব্যবস্থা
আগামী বছর থেকে কলকাতায় চালু হচ্ছে নতুন কর ব্যবস্থা
ওয়েব ডেস্ক: পরের বছর এপ্রিল থেকে কলকাতায় চালু হতে চলেছে নতুন কর ব্যবস্থা। নতুন কর ব্যবস্থায় খতম হবে ইন্সপেক্টর রাজ। সম্পত্তি কর মূল্যায়নও অনেক সরল হবে। আয় বাড়বে পুরসভার। কিন্তু ভোট বড় দায়। তাই পূর্ণ সংস্কারের সাহস দেখাল না কলকাতা পুরসভা। আর সেকারণেই নতুন ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক হচ্ছে না। চালু থাকছে পুরনো ব্যবস্থাও।
শহরের উন্নয়নের জন্য কলকাতা পুরসভাকে ঋণ দিয়েছে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্ক। তাতে দুটো শর্ত।
এক, জলকর নিতে হবে
দুই, কর ব্যবস্থাকে সরল করতে হবে
জলকর নেওয়ায় তীব্র আপত্তি মুখ্যমন্ত্রীর। তাই দ্বিতীয় শর্ত মানতে কর ব্যবস্থার সংস্কারের খসড়া তৈরির কাজ শুরু হয়। পাঁচ বছর টালবাহানা শেষে আগামী বছর পয়লা এপ্রিল থেকে চালু হচ্ছে নতুন ব্যবস্থা। যদিও তা বাধ্যতামূলক হচ্ছে না। একই সঙ্গে চালু থাকছে পুরনো ব্যবস্থা।
সম্পত্তি মূল্যায়নের নতুন ব্যবস্থায় কলকাতা পুর নিগমের আওতাভুক্ত এলাকাকে ৮টি জোনে ভাগ করা হয়েছে।
ওই আটটি জোন হল A,B, C, D, E, F,G, H
বাড়ি বা ফ্ল্যাট কোন জোনে পড়ছে, প্রাথমিকভাবে তার ওপরই সম্পত্তির বার্ষিক মূল্যায়ন হবে
সম্পত্তি মূল্যায়নের নতুন নিয়মে আরও কয়েকটি মাপকাঠি রয়েছে। যেমন,
বাড়িতে মালিক নিজে থাকেন না, ভাড়া দিয়েছেন
বাড়িটি পাকা না কাঁচা
বসত বাড়ি নাকি অফিস বাড়ি
পুরনো বাড়ি নাকি নতুন বাড়ি
সাধারণ ফ্ল্যাট নাকি অভিজাত আবাসন
এই বিষয়গুলির পরিপ্রেক্ষিতে বার্ষিক মূল্যায়ন ঠিক করা হবে
এরপর ছয় থেকে কুড়ি শতাংশ হারে সম্পত্তি কর নির্ধারণ করা হবে
এব্যবস্তা পুরোপুরি চালু হলে, খতম হোত ইন্সপেক্টর রাজ। সরল হোত কর ব্যবস্থা। আয় বাড়ত পুরসভার। উন্নয়নমূলক কাজের জন্য এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণ পাওয়া আরও সহজ হোত। কিন্তু সংস্কারের সেপথে হাঁটল না পুরসভাই। দুকূল রাখার চেষ্টা কেন? আসলে ভোটের অঙ্কেই সংস্কারে অনীহা। সম্পত্তি মূল্যায়নের নতুন নিয়মে কিছু ক্ষেত্রে বাড়তে পারে সম্পত্তি কর। তাই ভোটের মুখে দাঁড়িয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না কলকাতা পুরসভা। নতুন কর ব্যবস্থা আদৌ কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।