পোস্তায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য!
পরিকল্পণা করেই CCTV নজরদারির বাইরে থাকা এলাকায় মহিলার হার ছিনতাই করেছে দুষ্কৃতীরা। পোস্তায় ছিনতাইয়ের ঘটনার তদন্তে নেমে এমনটাই মনে করছে পুলিস। অন্য একটি দোকানের CCTV ক্যামেরায় ২ সন্দেহভাজনকে দেখা গেলেও, এখনও কেউ ধরা পড়েনি।
ওয়েব ডেস্ক : পরিকল্পণা করেই CCTV নজরদারির বাইরে থাকা এলাকায় মহিলার হার ছিনতাই করেছে দুষ্কৃতীরা। পোস্তায় ছিনতাইয়ের ঘটনার তদন্তে নেমে এমনটাই মনে করছে পুলিস। অন্য একটি দোকানের CCTV ক্যামেরায় ২ সন্দেহভাজনকে দেখা গেলেও, এখনও কেউ ধরা পড়েনি।
আরও পড়ুন- ইভটিজিংয়ের শিকার কলকাতা পুলিসের মহিলা সাব ইন্সপেক্টর
সোমবার পোস্তার আদি বাঁশতলায় সোনা পট্টিতে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন লেক টাউনের বাসিন্দা রীতা গর্গ। মহিলার অভিযোগ, একটি দোকান থেকে বেরনোর পর তাঁর পিছু নেয় ২ যুবক। কিছুদূর যাওয়ার পরই তারা পথ আটকায় এবং তাঁকে শাড়ি দেখার অনুরোধ জানান। রীতা গর্গের আরও দাবি, তিনি ২ যুবকের সঙ্গে একটি নির্জন গলিতে ঢোকার পরই দুষ্কৃকীরা তাঁর হাতের বালা এবং গলার হার ছিনতাই করে। এই মর্মে মঙ্গলবার বিকেলে পোস্তা থানায় অভিযোগ জানান তিনি। এরপরই তদন্তে নামেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
ঘটনাস্থল হরিরাম গোয়েঙ্কা স্ট্রিট। রাস্তার দুপাশে পরপর সোনার দোকান। প্রায় সব দোকানেই রয়েছে CCTV ক্যামেরা। অথচ দিনের আলোয় প্রকাশ্য রাস্তায় ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠসেও, কোনও দোকানের CCTV ক্যামেরাতেই ধরা পড়েনি ছিনতাইয়ের ফুটেজ। স্রেফ একটি দোকানের CCTV ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে, অভিযোগকারী মহিলা হাঁটছেন এবং তাঁর পিছনে পিছনে যাচ্ছে দুই যুবক। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, পরিকল্পণা করেই হরিরাম গোয়েঙ্কা স্ট্রিটের যে এলাকা CCTV ক্যামেরার নজরদারির বাইরে, মহিলাকে সেখানে নিয়ে গিয়েই ছিনতাই করেছে দুষ্কৃতীরা। তবে CCTV-তে যে দুজনকে দেখা যাচ্ছে, তারাই যে ঘটনায় জড়িত, তা নিশ্চিত নয় পুলিস। তবে এ ঘটনায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।