বিক্ষোভের জেরে পরীক্ষা ব্যবস্থায় বদল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের, আগামী বছর থেকে ব্রাত্য বাংলা বিভাগের মৌখিক পরীক্ষা

নম্বর কম পাওয়া ছাত্রছাত্রীদের চাপে পড়ে এবার পরীক্ষা ব্যবস্থাই বদলে দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের কিছু ছাত্রছাত্রীর অভিযোগ, তাঁদের মৌখিক পরীক্ষায় ইচ্ছাকৃত ভাবে নম্বর কম দেওয়া হয়েছে। সমস্যা মেটাতে শেষ পর্যন্ত আগামী বছর থেকে বাংলা বিভাগে মৌখিক পরীক্ষাই তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Updated By: Dec 9, 2013, 09:15 PM IST

নম্বর কম পাওয়া ছাত্রছাত্রীদের চাপে পড়ে এবার পরীক্ষা ব্যবস্থাই বদলে দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের কিছু ছাত্রছাত্রীর অভিযোগ, তাঁদের মৌখিক পরীক্ষায় ইচ্ছাকৃত ভাবে নম্বর কম দেওয়া হয়েছে। সমস্যা মেটাতে শেষ পর্যন্ত আগামী বছর থেকে বাংলা বিভাগে মৌখিক পরীক্ষাই তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শুরুটা হয়েছিল বিক্ষোভে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা দ্বিতীয় বর্ষে ছাত্রছাত্রী সাড়ে তিনশোরও বেশি। তাঁদের মধ্যে শখানেক ছাত্রছাত্রী সোমবার বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বাংলা বিভাগের সামনে।

সবাইকে চমকে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে রেজিষ্ট্রার ও অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে ছুটে আসেন খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। আরও চমক অবশ্য বাকি ছিল। বিক্ষোভ থামাতে সেটাই শোনালেন উপাচার্য।

শুধু মৌখিক পরীক্ষা তুলে দেওয়াই নয়, যাঁরা মৌখিকে কম নম্বর পেয়েছেন তাঁদের লিখিত পরীক্ষার খাতা বাইরের পরীক্ষক এনে নতুনভাবে দেখানো হবে। খাতায় ছাত্রছাত্রীদের রোল নম্বরের পরিবর্তে কোড বসানো হবে। অর্থাত্ পক্ষপাতিত্বের অভিযোগটা কার্যত মেনেই নিলেন উপাচার্য। যদিও মুখে তা মানতে নারাজ।

উপাচার্যের অস্বাভাবিক তত্পরতার পিছনে কি অন্য কোনও কারণ আছে? প্রশ্নটা ঘুরছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। প্রশ্ন উঠছে, উপাচার্যের সিদ্ধান্ত আপাতত বিক্ষোভে জল ঢালল। কিন্তু ভবিষ্যতে বারবার আগুন জ্বলার রাস্তাটা তৈরি করে দিল না তো?

.