Cyber Crime: নতুন পদ্ধতিতে প্রতারণা, গোয়া থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত
এই অভিযোগ পেয়ে নিউটাউন থানার পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারে হুগলীর উত্তরপাড়ার বাসিন্দা মিলন নাদকর গোটা ঘটনা ঘটিয়েছে। তার খোঁজ শুরু হতেই জানতে পারে অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এরপরেই পুলিস খোঁজখবর শুরু করতে জানতে পারে গোয়াতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে অভিযুক্ত মিলন।
নান্টু হাজরা: অভিনব পদ্ধতিতে একাধিক মহিলাদের প্রতারণার ছক। মূল পান্ডাকে গোয়া থেকে গ্রেফতার করলো নিউটাউন থানার পুলিস। আইটি কর্মী হিসাবে কাজ করতো সে। সেই সুবিধাতে আইটি মহিলা কর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে তাদের সঙ্গে সহবাস ও তাদের ডকুমেন্টস নিয়ে ইএমআইতে তাদের নামে বিভিন্ন জিনিস কেনা ও লোন নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। ওই সব তরুণীদের অজান্তে এই কাজ করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। রবিবার তাকে বারাসাত কোর্টে তোলা হবে।
পুলিস সূত্রে খবর গত ২০ এপ্রিল তারিখে নিউটাউন থানায় এক মহিলা অভিযোগ করেন যে কর্মক্ষেত্রে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এর পরে তাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ট হয়। তখন সেই মহিলাকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে আধার কার্ড, প্যান কার্ড সহ বিভিন্ন নথি নিয়ে তার নামে ইএমআই-তে তার অজান্তেই বিভিন্ন জিনিস কেনে ওই ব্যক্তি। শুধু তাই নয় ওই তরুণীর নামে লোনও নেওয়া হত বলে জানানো হয়। এই ভাবেই তার সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Buddhadeb Bhattacharya Hospitalised: হাত নাড়ার চেষ্টা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর, হাসপাতালে নওশাদ
এই অভিযোগ পেয়ে নিউটাউন থানার পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারে হুগলীর উত্তরপাড়ার বাসিন্দা মিলন নাদকর গোটা ঘটনা ঘটিয়েছে। তার খোঁজ শুরু হতেই জানতে পারে অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এরপরেই পুলিস খোঁজখবর শুরু করতে জানতে পারে গোয়াতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে অভিযুক্ত মিলন। সেই খবরের সূত্র ধরে নিউটাউন থানার পুলিস গোয়ায় হানা দেয়। সেখান থেকে অভিযুক্ত মিলন নাদকারকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ অভিযুক্তকে বারাসাত আদালতে তোলা হবে।
নিউটাউন থানার পুলিস অভিযুক্ত মিলন নাদকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে যে, এই মিলন সোশ্যাল মাধ্যমের সাহায্যে ও কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন মহিলা ও তরুণীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। এবং বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের সঙ্গে সহবাস করে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে।
আরও পড়ুন: Buddhadeb Bhattacharya Hospitalised: এখনও ভেন্টিলেশনেই বুদ্ধদেব, সংকট না কাটলেও স্থিতিশীল
সেই বিশ্বাসের জায়গা থেকে সেই মহিলা ও তরুণীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে প্যান কার্ড আধার কার্ড সহ বিভিন্ন নথি নিয়ে নেয়। সেই নথি দিয়ে বিভিন্ন শপিং মল থেকে ইএমআই এর মাধ্যমে দামি জিনিসপত্র কিনত সেইসব তরুণী ও মহিলাদের অজান্তে।
এর পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা থেকে লোন ও নেওয়া হতো। এরপরই যখনই সেই সমস্ত মহিলা বা তরুণীদের একাউন্ট থেকে টাকা কাটতে থাকে তখনই তারা জানতে পারে যে তারা কোনও ভাবে প্রতারিত হয়েছে। এই ভাবেই অভিযুক্ত মিলন এক নতুন পদ্ধতিতে প্রতারণার ছক করে। পুলিশে জিজ্ঞাসাবাদে এখনও পর্যন্ত প্রায় লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার হিসেব পাওয়া গিয়েছে এই অভিযুক্তের তার কাছ থেকে এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর।