'দিদিকে বলো'-তে এবার কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ তৃণমূলের, সাংসদদের জন্যও কড়া নির্দেশ
রাজ্যের ১০ হাজার গ্রামে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা। মাসে কমপক্ষে ৫ দিন দলের নির্দেশ মেনে কাজ করতে হবে সাংসদদের।
!['দিদিকে বলো'-তে এবার কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ তৃণমূলের, সাংসদদের জন্যও কড়া নির্দেশ 'দিদিকে বলো'-তে এবার কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ তৃণমূলের, সাংসদদের জন্যও কড়া নির্দেশ](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/09/02/206836-index.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন : জনসংযোগ বাড়াতে এবার তৃণমূলের অন্দরে তৈরি করা হল একটি নতুন পদ। 'দিদিকে বলো' কর্মসূচিকে মানুষের কাছে আরও বেশিমাত্রায় পৌঁছে দিতে তৈরি করা হয়েছে নতুন এই কো-অর্ডিনেটর পদটি। জেলা সভাপতির সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবেন এই কো-অর্ডিনেটররা।
এদিন জয় হিন্দ ভবনে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রশান্ত কিশোর। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিল তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও মন্ত্রীরা। জনসংযোগ কীভাবে আরও বাড়ানো যায়? বৈঠকে প্রশান্ত কিশোর তার একটা গাইডলাইন দেন তৃণমূল নেতৃত্বকে। তিনি বলেন, ক্ষোভের মুখে পড়লেও জনসংযোগ থেকে পিছু হঠবেন না। জনসংযোগ করুন। বুথস্তরে নেমে গিয়ে কাজ করার কথা বলেন পিকে। কীসে কোথায় মানুষের অভাব-অভিযোগ রয়েছে? তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানার জন্য প্রশ্নপত্র তৈরি করার কথাও বলেন প্রশান্ত কিশোর।
রাজ্যের ১০ হাজার গ্রামে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয় এদিনের বৈঠকে। গ্রামে গ্রামে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি পৌঁছে দেওয়ার কাজে অগ্রণী ভূমিকায় থাকবেন এই নয়া কো-অর্ডিনেটররা। মোট ১৪ জন কো-অর্ডিনেটরকে এদিন বৈঠকে বাছা হয়। চলুন দেখে নেওয়া যাক, কে কোথায় দায়িত্বে থাকছেন?
দক্ষিণ কলকাতা- বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়
উত্তর কলকাতা- অতীন ঘোষ
হুগলি- স্নেহাশিষ চক্রবর্তী
হাওড়া শহর- রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
হাওড়া গ্রামীণ- সমীর পাঁজা
কোচবিহার- পার্থপ্রতিম রায়
জলপাইগুড়ি- চন্দন ভট্টাচার্য
দার্জিলিং, বীরভূম- রানা
রানাঘাট- দীপক
কৃষ্ণনগর- নাসিরুদ্দিন আহমেদ
দক্ষিণ ২৪ পরগনা-মন্টুরাম পাখিরা
উত্তর ২৪ পরগনা- নারায়ণ গোস্বামী
মালদা- অম্লান
মুর্শিদাবাদ- অরিত্র চক্রবর্তী
আরও পড়ুন, পুজোর দিনে এলাকায় থেকে জনসংযোগ করুন, মানুষের কাছে পৌঁছে যান, হোমটাস্ক দিলেন মমতা
আজ তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গেও বসেন নেত্রী। মূলত যুব তৃণমূল থেকেই বাছা হয়েছে কো-অর্ডিনেটরদের। ওয়াকিবহল মহল মনে করছে, তৃণমূলে মাদার-যুবর মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতেই হয়তো এই কো-অর্ডিনেটর পদ তৈরির স্ট্র্যাটেজি নিয়েছেন পিকে। এখন কী জন্য কী? সেটা অবশ্য সময় বলবে। তবে 'দিদিকে বলো'কে আরও সফল করতে, জনসংযোগ আরও মজবুত করতে চেষ্টায় কোনও ফাঁক রাখতে চায় না তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন কো-অর্ডিনেটর পদ তৈরির পাশাপাশি, সাংসদদের উদ্দেশেও একটি নির্দেশ জারি করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মাসে কমপক্ষে ৫ দিন দলের নির্দেশ মেনে কাজ করার কথা বলা হয়েছে সাংসদদের। ওই ৫ দিনের সাংসদদের কর্মসূচি ঠিক করে দেবেন দলনেত্রী নিজে। দল যা বলবে, সেটাই করতে হবে তাঁদের।