পুজোর দিনে এলাকায় থেকে জনসংযোগ করুন, মানুষের কাছে পৌঁছে যান, হোমটাস্ক দিলেন মমতা
তবে পুজো প্যান্ডেলে কোনও দলীয় পতাকা, পোস্টার বা ব্যানার রাখা যাবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পুজোয় কোথাও ঘোরাঘুরি নয়। বাইরে যাওয়া নয়। এলাকাতেই থাকতে হবে সবাইকে। ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে জনসংযোগের কাজে। দুর্গাপুজোকে হাতিয়ার করে একদিকে বিজেপি যেমন জনসংযোগ বৃদ্ধিতে ময়দানে নেমে পড়েছে, তেমনই রণকৌশল সাজাচ্ছে তৃণমূলও।
এদিন জেলা সভাপতি ও মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বর্তমানে তৃণমূলের রণনীতি নির্ধায়ক গুরু প্রশান্ত কিশোরও। যদিও বৈঠকে প্রশান্ত কিশোর তৃণমূল নেতৃত্বের উদ্দেশে আলাদা করে কোনও পরামর্শ দেননি, তবে পিকে-র গাইডলাইন মেনেই দলীয় নেতাদের উদ্দেশে তৃণমূল সুপ্রিমো ফরমান জারি করলেন বলে মনে করা হচ্ছে। কী বলা হয়েছে সেই নির্দেশিকায়?
১) পুজোয় আরও ভালো করে জনসংযোগ করতে হবে।
২) দিদিকে বলো-কে আরও প্রত্যন্ত গা গাঁ গঞ্জে নিয়ে যেতে হবে।
৩) তবে পুজো প্যান্ডেলে কোনও দলীয় পতাকা, পোস্টার বা ব্যানার রাখা যাবে না।
৪) পুজোয় বেড়াতে যাওয়া চলবে না।
৫) পুজোয় থাকতে হবে এলাকায়।
প্রসঙ্গত, শারদোৎসব উপলক্ষে দুর্গার মুখ আঁকা 'দুয়ারে দুয়ারে পদ্মের আগমনী' নামে স্টিকার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে বিজেপি। এবার দলীয় নেতৃত্বকে তৃণমূল সুপ্রিমো নির্দেশ দিলেন, পুজোর দিনগুলিতে জমি আঁকড়ে পড়ে থাকতে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। সেই বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। ২০২১-এ রাজ্যে পালাবদল হবেই বলে হুঙ্কার দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। অন্যদিকে, লোকসভা ভোটে কার্যত ভরাডুবির পর ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া লড়াই তৃণমূলের। হারানো জমি ফিরে পেতে 'দিদিকে বলো' শুরু করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন, সংখ্যালঘু বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর আক্রমণ বেশি হচ্ছে, বিস্ফোরক সায়ন্তন বসু
সেই কর্মসূচি কতটা সাফল্য পেল? তা পর্যালোচনা করতেই আজ দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলা বাহুল্য প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে শুরু হওয়া 'দিদিকে বলো' ব্যপকভাবে জনসমর্থন আদায় করে নিয়েছে। আর তাই জনসংযোগ আরও বাড়াতে এবার আরও তৎপর তৃণমূল নেতৃত্ব। সামনে বাঙালির সর্ববৃহৎ উৎসব শারদোৎসব। জনসংযোগ বাড়াতে তাই পুজোয় এবার কী করতে হবে? কী করবে না? তৃণমূল নেতৃত্বকে আজ যেন সেই 'হোমটাস্ক'টাই দিলেন নেত্রী। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।