ওরা রাস্তায় ফেলে লাঠি দিয়ে মারল, কেউ না থাকলে মরেই যেতাম : পান্না লাল ঘোষ
পুলিসের তরফে জানানো হয়, ঘটনার পিছনে যারাই থাকুক না কেন খুব শীঘ্রই তাঁরা ধরা পড়ে যাবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কপালে ৮টা সেলাই পড়েছে। মাথাতেও চারটে। মেরে কান ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর। হাতে পায়ে সহ শরীরের অন্যান্য জায়গায়ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই অবস্থায় বিভীষিকা রাতের কথা বললেন নাকতলা উদয় সংঘের স্থানীয় বাসিন্দা পান্না লাল ঘোষ।
শনিবার রাতে রীতিমত রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বছর ৫০ পান্না লাল ঘোষ কে।রবিবার সকালে অরবিন্দ নগরে পান্না লাল বাবুর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, কপাল থেকে মাথা, পুরোটাই ব্যান্ডেজ করা। কথা বলতেও সমস্যা হচ্ছে তাঁর।
পান্নালাল বাবু জানান, ইলেকট্রিকের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। নাকতলা উদয়ন সংঘ ক্লাবের সামনে আসতেই তিনি দেখেন একদল যুবক রীতিমত তান্ডব চালাচ্ছে।
ওপরই আচমকা পান্না লাল বাবুর ওপর চড়াও হন ওই যুবকেরা।
এলোপাথারিভাবে মারধর করা হয় তাঁকে। এদিকে, ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত পরিবারের সদস্যরা। পান্নালাল বাবুর বৌদি শিখা ঘোষ বলেন, বছর খানেক আগে পান্না বাবুর মা রেনুকনা ঘোষ মারা যান, ঠিক তার কয়েক মাস বাদেই মারা যান পান্নালাল বাবুর মেজো দাদা কালাচাঁদ ঘোষ। এক বছরের মধ্যেই পরিবারের দু'দুজন সদস্য মারা যান, তার উপর গতকাল রাতে পান্নালাল বাবুর এইভাবে আক্রমণ, স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কিত গোটা পরিবারের লোকজনরা।
পান্নালাল বাবু বলেন, "বাটাম দিয়ে ওরা রাস্তায় ফেলে মারে আমাকে।পাড়ার লোকজনরা না থাকলে আমি মরেই যেতাম। অন্যদিকে, পান্নালাল বাবুর দিদি শান্তি দেব বলেন, যারা আমার ভাইকে মারল, তাদের কঠোর শাস্তি চাই"।
এই রকম একটা তান্ডবের খবর পেয়ে নাকতলা উদয়ন সংঘ ক্লাবে আসেন ডিসি যাদবপুর রাশিদ মুনির খান। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। একই সঙ্গে ক্লাব সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ডিসি। পরে পুলিসের তরফে জানানো হয়, ঘটনার পিছনে যারাই থাকুক না কেন খুব শীঘ্রই তাঁরা ধরা পড়ে যাবে।