এক `যাত্রায়` পৃথক ফল: মুন্নার জামিন, মোক্তারের খারিজ

গার্ডেনরিচ কাণ্ডে ফের বিতর্কের মুখে রাজ্য সরকার। আমরা-ওরা অভিযোগ আরও একবার দারুণভাবে উঠে এল। একই ঘটনায় তৃণমূল বরো প্রধান মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্না জামিন পেলেও, আজ অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা মোক্তারের জামিন হল না। কারণ সরকারের আইনজীবী মোক্তারের জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেন। অথচ গতকাল মুন্নার জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেননি সরকারপক্ষের আইনজীবী।

Updated By: May 24, 2013, 03:48 PM IST

গার্ডেনরিচ কাণ্ডে ফের বিতর্কের মুখে রাজ্য সরকার। আমরা-ওরা অভিযোগ আরও একবার দারুণভাবে উঠে এল। একই ঘটনায় তৃণমূল বরো প্রধান মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্না জামিন পেলেও, আজ অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা মোক্তারের জামিন হল না। কারণ সরকারের আইনজীবী মোক্তারের জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেন। অথচ গতকাল মুন্নার জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেননি সরকারপক্ষের আইনজীবী।
বাবার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আলিপুর দায়রা আদালতে মোক্তারের জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা৷ কিন্তু সরকারি আইনজীবী জামিনের আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেন৷ সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য, মোক্তার গার্ডেনরিচ এবং বন্দর এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী৷ তিনি মুক্তি পেলে মামলায় সাক্ষীদের ভয় দেখাবেন৷
এখানেই উঠছে প্রশ্ন। এক যাত্রায় পৃথক ফল হল কেন।
বৃহস্পতিবার আলিপুর জেলা আদালত থেকে জামিন পান মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্না। তাঁর শর্তাধীন জামিনের বিরোধিতাই করেননি সরকারি আইনজীবী। সিআইডি-র তদন্তকারী অফিসাররা নির্দিষ্ট সময় অর্থাত নব্বই দিনের মধ্যেই পুলিস খুনের ঘটনায় চার্জিশিট পেশ করেছিলেন। কারণ, তাঁরা চেয়েছিলেন, এই ঘটনায় কাস্টডিয়াল ট্রায়াল বা বন্দি অবস্থায় বিচার হোক। না হলে তথ্য-প্রমানের ওপর প্রভাব ফেলতে পারেন অভিযুক্ত। কিন্তু সরকারি উদ্যোগেই তা হল না।
 
শুক্রবার আলিপুর জেলা আদালতে তৃতীয়বার জামিনের আবেদন জানান কংগ্রেস নেতা মোক্তারের আইনজীবী।
 
মোক্তারের আইনজীবীর দাবি----
 
৩০২ ধারায় খুনের মামলায় অভিযুক্ত মুন্নার জামিন হয়েছে।
 
৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টার মামলাতেও ৭ মে জামিন পেয়েছেন মুন্না।
 শেষ পর্যন্ত সরকারি আইনজীবীর বিরোধিতায় অবশ্য মুন্নার জামিন মেলেনি। আর সেই কারণেই সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ প্রথম থেকেই সরকারি উদ্যোগে গার্ডেনরিচের পুলিস খুনের ঘটনায় মুন্নাকে আড়াল করে মোক্তারকে দোষি প্রমানিত করার চেষ্টা হয়েছিল। ঘটনার পরেই খোদ মন্ত্রীর এই মন্তব্য শেষ পর্যন্ত শাসক দলের নেতাকে স্বস্তি দিয়েছে। অস্বস্তিতে ফেলেছে সরকারকে।
 
 

প্রসঙ্গত, ১২ ফেব্রুয়ারি দুই ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক পুলিসকর্মীর। সে দিন গার্ডেনরিচের হরিমোহন ঘোষ কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। ছাত্র পরিষদ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গার্ডেনরিচ। পুলিসকর্মী তাপস চৌধুরীর হত্যার ঘটনায় ১৫ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নাকে মূল অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা সহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে চার্জশিটে।

.