একদা চাণক্য এখন বুড়ো ভাম! তৃণমূল থেকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড মুকুল রায়
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুকুল রায় আর দলের কেউ নন, প্রাক্তন সেনাপতিকে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানালেন, "দলে থেকেই দলের দুর্নাম করেছেন মুকুল রায়। দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন তিনি। নিজের স্বার্থের জন্য কাজ করছেন।" এখানেই থেমে না থেকে মুকুল রায়ের একদা সতীর্থ অভিযোগ করেন, "তৃণমূল কংগ্রেসকে অসম্মান করেছেন তিনি। দলকে অন্ধকারে রেখে বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ চালিয়ে গিয়েছেন। যাঁরা এরকম করবে, দল তাঁদের বহিষ্কার করবে।"
উল্লেখ্য, আজ সকালেই দলের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টেনেছেন মুকুল রায়। দলের দেওয়া জেড ক্যাটাগরি সিকিউরিটি ছেড়েছেন আগেই। পঞ্চমীর সকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেন, পুজোর পরই তৃণমূলের সদস্য পদ ছাড়বেন। এরপর অর্ধ দিবসও কাটল না, মুকুল রায়কে নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল তৃণমূল। মুকুল রায়ের মত 'বুড়ো ভাম'কে যে আর দলে রাখা হচ্ছে না, সে বিষয় স্পষ্ট করে এদিন পার্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "মহারাজ বৃদ্ধ হয়েছেন, চোখে দেখতে পান না। যাকে কেউ চিনত না, তাঁকে ডেকে এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যসভার সাংসদ ও রেলমন্ত্রী করেছেন। পরিচিতি পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে।"
আরও পড়ুন- তৃণমূল ছাড়লেন মুকুল রায়, ইস্তফা দিলেন কর্মসমিতি থেকে
অতীত প্রসঙ্গ টেনে দলের মহাসচিব বলেন, "এর আগেও আমি মুকুল রায়ের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে দলে ফিরিয়েছি। নিষ্ক্রিয় থেকে সক্রিয় করার চেষ্টা করেছি। উনি ভুলে গেছেন, উনি জগদ্দলে দাঁড়িয়ে যখন হেরে গিয়েছিলেন, তারপেরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করেছেন। রাজ্য সভাপতি করেছেন, মুকুল রায়কে স্নেহবশত কাছেই রেখেছিলেন দলনেত্রী। এত কিছু পেয়েও বুড়ো ভামরা কেন সন্তুষ্ট হয় না বুঝতে পারছি না।"
আরও পড়ুন- বাবার পদত্যাগ! ছেলে জানালেন 'তৃণমূলেই আছি, তৃণমূলেই থাকব"