রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের হুঙ্কার মুকুলের

নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষের পরও রাজ্যের ১৬টি পুরসভা ও হাওড়া পুরনিগমে ভোট হয়নি। কাজ চালাচ্ছেন, সরকার-মনোনীত প্রশাসকরা। 

Updated By: Jun 27, 2019, 10:13 PM IST
রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের হুঙ্কার মুকুলের

নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরসভায় প্রশাসকের মেয়াদ ৬ মাস থেকে বাড়িয়ে ১ বছর। কাউন্সিলর না হয়েও মেয়র বা চেয়ারম্যান। দুই ক্ষেত্রেই নতুন রাস্তা খুলতে পুর আইন সংশোধন করছে রাজ্য সরকার। বিধানসভার চলতি অধিবেশনেই আসছে বিল। রাজ্য সরকারের এমন পদক্ষেপের বিরোধিতায় সোচ্চার হল বিজেপি। দলের সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, হারার ভয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন মুকুল রায়। তাঁর অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিজেপি নেতা। এরইসঙ্গে মুকুল রায়ের হুঁশিয়ারি, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলার মানুষের ভোটাধিকার কাড়লে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম হবে।

নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষের পরও রাজ্যের ১৬টি পুরসভা ও হাওড়া পুরনিগমে ভোট হয়নি। কাজ চালাচ্ছেন, সরকার-মনোনীত প্রশাসকরা। প্রয়োজনে, তাঁদের মেয়াদ আরও বাড়াতে পুর আইন সংশোধন করতে চলেছে রাজ্য সরকার। হাওড়া, আলিপুরদুয়ার, মেখলিগঞ্জ, হলদিবাড়ি, ডালখোলা, বালুরঘাট, চাকদহ, পানিহাটি, হাবরা, ডায়মন্ড হারবার, দুবরাজপুর, বর্ধমান, গুসকরা, কৃষ্ণনগর, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও বহরমপুর পুরসভায় বসানো হয়েছে প্রশাসক। সূত্রের খবর, এখন আর ভোট না করে আগামী বছরের গোড়ায় সব পুরসভার ভোট একই সঙ্গে করাতে চায় রাজ্য সরকার। সেজন্য আইন সংশোধন করা হচ্ছে। 

লোকসভা ভোট মেটার পর প্রাক্তন পঞ্চায়েত সচিব সৌরভ দাসকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে নিযুক্ত করেছিল রাজ্য সরকার। তাঁর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুকুল রায়। তাঁর কথায়, রাজ্যের সুবিধা করতে পঞ্চায়েতের মামলা লড়তে দিল্লিতে গিয়েছিলেন তত্কালীন পঞ্চায়েত সচিব সৌরভ দাস। তাঁকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন পদে রেখে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে ভাবা উচিত।

১৯৯৩ সালের পুর আইনে, নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষের পর, প্রয়োজনে ৬ মাসের জন্য প্রশাসক বসানোর সংস্থান রয়েছে। রাজ্যের সমস্ত পুরসভা এবং পুরনিগমে প্রশাসকদের মেয়াদ ৬ মাস থেকে বাড়িয়ে ১ বছর করার জন্য বিল আনছে রাজ্য সরকার। সরকারের যুক্তি, বিচ্ছিন্নভাবে পুরসভা ভোট না করে সব পুরসভার ভোট একসঙ্গে করলে খরচ বাঁচবে। উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। সেজন্যই প্রশাসক বসানো জরুরি।

আরও পড়ুন- স্কুলে সংখ্যালঘু পড়ুয়া ৭০% হলেই তৈরি করতে হবে ডাউনিং হল, নির্দেশ রাজ্যের

.