কলকাতার অভিজাত আবাসনে নীতি পুলিস-গিরির অভিযোগ, পুলিসে অভিযোগ তরুণীর
সাত তাড়াতাড়ি ঘরোয়া পোশাকেই সেখানে পৌঁছে যান তিনি। ঐশীর অভিযোগ, সেখানে তাঁর সমস্যা শোনার বদলে পোশাক নিয়ে উপদেশ দেন উপস্থিত আধিকারিকরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এবার খাস কলকাতায় নীতি পুলিসগিরির অভিযোগ অভিজাত আবাসনের কর্তাদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বাসপাসের ধারে রুচিরা রেসিডেন্সির কর্তারা। এক তরুণীর পোশাক নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছেন ঐশী চক্রবর্তী নামে ওই তরুণী। অভিযোগের প্রতিলিপি ই-মেইলে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন তিনি।
ঘটনা গত বৃহস্পতিবারের। বিকেলে শৌচাগারে জল লিক করছে দেখে কলমিস্ত্রিকে তলব করেন রুচিরা আবাসনের বাসিন্দা ঐশী। আবাসনের গেটে ফোন করে নিরাপত্তারক্ষীদের মিস্ত্রিকে আবাসনের ভিতরে ঢুকতে দিতে অনুরোধ করেন তিনি। নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, সন্ধে ৭টার পর আবাসনের ভিতরে মিস্ত্রিদের প্রবেশ নিষেধ। একথা শুনে আবাসনের পরিচালন কমিটির দফতরে ছুটে যান তিনি। সাত তাড়াতাড়ি ঘরোয়া পোশাকেই সেখানে পৌঁছে যান তিনি। ঐশীর অভিযোগ, সেখানে তাঁর সমস্যা শোনার বদলে পোশাক নিয়ে উপদেশ দেন উপস্থিত আধিকারিকরা। বলেন, ছোট পোশাক পরে এলে কথা বলতে বাধ্য নন তাঁরা।
এভাবে লাঞ্ছিত হয়ে স্থানীয় থানায় আবাসন পরিচালন কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই তরুণী। অভিযোগের প্রতিলিপি ই-মেইলে পাঠিয়েছেন কলকাতার পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। বিচার চেয়ে মহিলা কমিশনেরও দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
এক কাঁধে রাম, অন্য কাঁধে লক্ষ্মণ, কলকাতায় হনুমানের এমনই মূর্তি বসাচ্ছে তৃণমূল বিধায়ক
মেধাবী ছাত্রী ঐশী কয়েকদিনের মধ্যেই বিদেশ পাড়ি দেবেন। তার আগে এই ঘটনায় হতবাক তিনি। তাঁর প্রশ্ন, কী ভাবে একজন ব্যক্তির পোশাক নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে পারেন অন্য কেউ? কেন আবাসনের দফতরে ছিলেন না কোনও মহিলা আধিকারি?
এবিষয়ে মুখ খুলতে অস্বীকার করেছে আবাসনের পরিচালন সমিতি। বিষয়টি আবাসনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে জানিয়েছেন তাঁরা।