ঘাটতির ভয় থাকলেও বৃষ্টি মুখ ফেরায়নি রাজ্যে

Updated By: Jul 6, 2015, 07:18 PM IST
ঘাটতির ভয় থাকলেও বৃষ্টি মুখ ফেরায়নি রাজ্যে

ঘাটতির আশঙ্কা থাকলেও এবছর এখনও পর্যন্ত পর্যাপ্ত  বৃষ্টি হয়েছে এ রাজ্যে। উত্তরবঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টি ধস নামিয়েছে পাহাড়ে। অন্যদিকে, পিছিয়ে থেকে শুরু করলেও দক্ষিণবঙ্গেও বৃষ্টি হয়েছে স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। মৌসম ভবনের ঘাটতি বৃষ্টির ভবিষ্যদ্বাণীকে উড়িয়ে দিয়ে রাজ্যে ঝোড়ো ইনিংস খেলেছে বর্ষা।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ। দার্জিলিংয়ে বৃষ্টি হয়েছে এক শতাংশ। জলপাইগুড়ি, মালদহে বৃষ্টি হয়েছে যথাক্রমে আট ও চোদ্দ শতাংশ। যদিও কোচবিহারে বৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে সাত শতাংশ কম। উত্তর দিনাজপুরে বৃষ্টি হয়েছে স্বাভাবিকের থেকে সাতচল্লিশ শতাংশ কম। দক্ষিণ দিনাজপুরে ঘাটতি বৃষ্টির পরিমাণ চৌষট্টি শতাংশ।

মৌসুমী বায়ু বাধা পাওয়ায় শুরুতে  দক্ষিণবঙ্গে ততটা সদয় হয়নি বৃষ্টি। ফলে বর্ধমান, হুগলি, বাঁকুড়া, মেদিনীপুরের মত  জেলাগুলিতে চাষাবাদ ভাল হবে না এমন আশঙ্কা ছিল কৃষকদের। যদিও শেষ কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে অনেকটাই ক্ষতিপূরণ হয়েছে। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান ও পশ্চিম মেদিনীপুরে বৃষ্টির পরিমান তেতাল্লিশ শতাংশ। নদিয়ায় বৃষ্টি হয়েছে সাঁইত্রিশ শতাংশ, পুরুলিয়ায় বৃষ্টি হয়েছে সাতাশ শতাংশ, হুগলিতে ছাব্বিশ শতাংশ, পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টি হয়েছে সাত শতাংশ এবং কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে উনিশ শতাংশ।

বাঁকুড়ায় বৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে আট শতাংশ কম। হাওড়ায় বৃষ্টি হয়েছে স্বাভাবিকের থেকে চার শতাংশ কম। উত্তর চব্বিশ পরগনায় বৃষ্টি হয়েছে বারো শতাংশ কম। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ঘাটতি বৃষ্টির পরিমান একুশ শতাংশ। বর্ষার একমাস অতিক্রান্ত। পরিসংখ্যান যথেষ্টই আশাপ্রদ। এগারোই সেপ্টেম্বরের মধ্যে রোয়া রোপনের সময়। মাঝে জুলাইয়েওবর্ষার এই ঝোড়ো ইনিংশ বজায় থাকলে কৃষকদের মুখে চওড়া হাসি ফুটবে সন্দেহ নেই।

 

.