প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপিতে ১৫ দফা দাবি মুখ্যমন্ত্রীর, ঋণ মকুবের আর্জি মমতার
ওয়েব ডেস্ক: রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেন মুখ্যমন্ত্রী। স্মারকলিপিতে ১৫ দফা দাবি থাকল। ২ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ মকুবের আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে কেন্দ্রীয় সামাজিক প্রকল্পে বরাদ্দ ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ করলেন। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত উদ্যোগ নেওয়ার আর্জি জানালেন মমতা।
২০১১ এই তহবিলে রাজ্যকে ৮হাজার ৭৫০ বরাদ্দ করেছিল 13তম অর্থ কমিশন। পাঁচ হাজার কোটি টাকাও পেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু, ২০১৩ ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে না পারায় রাজ্যের ৩ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা আটকে রয়েছে। সেই টাকা ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও ১০০ দিনের কাজ সহ সামাজিক প্রকল্পগুলির বরাদ্দ বাড়ানোরও দাবি জানাবেন তিনি।
ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নিয়ে নজরুল মঞ্চে রাজনৈতিক বার্তা আদানপ্রদান করলেন মোদী-মমতা। ৩৪ বছরের বাম শাসনে রাজ্যের ব্যাঙ্কিং পরিষেবার হাল বেহাল। অভিযোগ মমতার। দাবি জানালেন, প্রতি পঞ্চায়েতে ব্যাঙ্কের শাখা খুলতে হবে। পাল্টা বক্তব্যে মোদী নিশানা করলেন কংগ্রেসকে। বললেন সমস্যা ষাট বছরের। সমাধান করবেন তিনিই।
নজরুল মঞ্চে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের উদ্বোধনে মোদী-মমতা দুজনেই গরিবি হঠাওয়ে জোর দিলেন।
নজরুল মঞ্চে একাধিক সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের উদ্বোধনের মাধ্যমে রাজ্য সফর শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সন্ধে ছটা থেকে সাতটা পর্যন্ত ঘণ্টাখানেক নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। একইমঞ্চে ছিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি যোজনা ও অটল পেনসন স্কিমের উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদী। প্রথম দুটি যোজনায় দু-লাখ টাকা বিমার সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ। অটল পেনসন স্কিমে ন্যূনতম টাকা রেখে ষাট বছর বয়স হলে পাওয়া যাবে পেনসন। আজ সারা দেশের আরও একশো পনেরোটি জায়গা থেকে এই তিনটি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সূচনা হয়েছে।
কাল বার্নপুরে ইস্কোর নতুন কারখানার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর, অণ্ডাল বিমানবন্দর থেকে দিল্লি উড়ে যাবেন তিনি। ইস্কো পুনরুজ্জীবন এবং নতুন বিমানবন্দর -এখন জোড়া কৃতিত্বই দাবি করছে রাজ্য সরকার। কিন্তু, বিরোধী নেত্রী থাকার সময় এই কারখানা এবং বিমানবন্দরের জন্য জমি অধিগ্রহণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তৃণমূলই।