'মন মানছে না' মন্ত্রীর, ২১ নম্বর ঘর খালি করে ভাবানীপুরের বাড়িতেই মদন মিত্র
এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ড। দীর্ঘ সময় ধরে সেটাই হয়ে উঠেছিল মদন মিত্রর বন্দি জীবনের আস্তানা। পরিবহণমন্ত্রীর শুশ্রূষায় কেবিনে কেমন ব্যবস্থা রেখেছিল রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল? চব্বিশ ঘণ্টার এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট।
ওয়েব ডেস্ক: এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ড। দীর্ঘ সময় ধরে সেটাই হয়ে উঠেছিল মদন মিত্রর বন্দি জীবনের আস্তানা। পরিবহণমন্ত্রীর শুশ্রূষায় কেবিনে কেমন ব্যবস্থা রেখেছিল রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল? চব্বিশ ঘণ্টার এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট।
বলতে গেলে গত ফেব্রুয়ারি থেকে পিজি হাসপাতালের উডবার্ন ব্লকই ছিল মদন মিত্রর ঠিকানা। প্রথমে দোতলার বারো নম্বর, পরে তিনতলার একুশ নম্বর ঘর। রাজ্যের একমাত্র সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এই দুটো ঘরে প্রায় এগারো মাস কাটিয়ে দিয়েছেন ডাকসাইটে মন্ত্রী। রবিবার খালি হয়ে গেল তিনতলার একুশ নম্বর ঘর।
উডবার্ন ওয়ার্ডের তিনতলায় কেমন ছিল দাপুটে মন্ত্রীর আস্তানা। ঘরে ঢুকেই বাঁদিকে বেড। ডানদিকে আলমারি। এককোণে ঠাকুরদেবতার ছবি আর মূর্তি। বেডের পাশে একদিকে রাখা চেয়ার আর টেবিল। হাসপাতালে প্রতিদিনই পুজো করতেন মদন মিত্র। তার জন্য হাসপাতালের ব্যালকনিতে তুলসীগাছের টবও বসানো হয়েছিল।
শনিবার আলিপুর আদালতে মদন মিত্রর জামিনের রায়ের পর একটুও দেরি করেনি রাজ্য সরকার। পরিবহণমন্ত্রীর জন্য সরকারি গাড়ি পাঠানো হয়। মন্ত্রী নিজে তা ব্যবহার না করলেও, পরিবারের সদস্যরা তাতে চড়েই যাতায়াত করেন।