জামিন তো পেলেন, আদৌ কি স্বস্তিতে মন্ত্রী মদন মিত্র?
জামিন পাওয়ার পর আদৌ কি সিবিআইয়ের থেকে স্বস্তি পাবেন মন্ত্রী মদন মিত্র? মদন মিত্রের ভবিষ্যতই বা কী? এরপর কি জামিন পেতে চলেছেন কুণাল ঘোষ? এখন এ প্রশ্নই রাজ্য রাজনীতিতে ঘুরপাক খাচ্ছে।
ব্যুরো: জামিন পাওয়ার পর আদৌ কি সিবিআইয়ের থেকে স্বস্তি পাবেন মন্ত্রী মদন মিত্র? মদন মিত্রের ভবিষ্যতই বা কী? এরপর কি জামিন পেতে চলেছেন কুণাল ঘোষ? এখন এ প্রশ্নই রাজ্য রাজনীতিতে ঘুরপাক খাচ্ছে।
সারদা মামলায় গ্রেফতার হয়ে ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন দশজন। তার মধ্যে রয়েছেন রজত মজুমদার, সৃঞ্জয় বসু, দেবব্রত সরকার। সেই তালিকায় যোগ হল মন্ত্রীর মদন মিত্রের নামও।
মন্ত্রী মদন মিত্রও জামিন পেলেন। জামিন পেয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িও গেলেন এ রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী।
মদন মিত্র জামিন পাওয়ার পর জোরালো হচ্ছে কুণাল ঘোষের জামিনের সম্ভাবনা। যে মামলায় মদন মিত্র জামিন পেলেন, সেই মামলাতে ইতিমধ্যেই জামিনে রয়েছেন কুণাল ঘোষ। খালি কুণালই নন, সারদা রিয়েলটি মামলায় জামিন পেয়েছেন সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন ও তাঁর সহযোগী দেবযানী মুখার্জি। কুণালের জামিন পাওয়ার পথে একমাত্র বাধা সারদা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের মামলা। কুণাল ঘোষ প্রভাবশালী, এই যুক্তিতেই বারেবারে তাঁর জামিনের বিরোধিতা করেছে সিবিআই। যদিও সে কারণ দেখিয়ে মন্ত্রী মদন মিত্রের জামিন আর আটকানো যায়নি।আর তাই মন্ত্রীর উদাহরণকে সামনে রেখেই কুণালের জামিনের রাস্তা খুলবে বলে মনে করছেন তাঁর আইনজীবীরা।
সোমনাথ দত্ত, দেবব্রত সরকার, রজত মজুমদার, বা সৃঞ্জয় বসুরা এখন অনেকটাই স্বস্তিতেই। জামিন পাওয়ার পর সিবিআই আর তাঁদের বিরক্ত করেনি। সেই স্বস্তি কী মদন মিত্র পাবেন? প্রশ্নটা কিন্তু উঠতে শুরু করেছে। কারণ বারবার আদালতে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, শুধু সারদাই নয়, আরও অনেক চিটফান্ডের বেআইনি লেনদেনে যোগ খুঁজে পাওয়া গেছে মন্ত্রী মদন মিত্রের। তাই জামিন পাওয়ার পরও সিবিআইয়ের টানা হেঁচড়া থেকে মন্ত্রীর স্বস্তি মিলবে, এমন কথা কিন্তু জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না।