মদন মিত্রের জন্য নিয়ম ভাঙল আলিপুর জেল কর্তৃপক্ষ, খতিয়ে দেখার আশ্বাস কারামন্ত্রীর
মদন মিত্রের জন্য নিয়ম ভাঙল আলিপুর জেল কর্তৃপক্ষ। রবিবার বিচারাধীন বন্দিদের সঙ্গে দেখা করার নিয়ম না থাকলেও, আজ মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন তাঁর ভাইপো ও ঘনিষ্ঠ এক সঙ্গী। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন কারামন্ত্রী হায়দার আলি সফি।
ওয়েব ডেস্ক: মদন মিত্রের জন্য নিয়ম ভাঙল আলিপুর জেল কর্তৃপক্ষ। রবিবার বিচারাধীন বন্দিদের সঙ্গে দেখা করার নিয়ম না থাকলেও, আজ মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন তাঁর ভাইপো ও ঘনিষ্ঠ এক সঙ্গী। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন কারামন্ত্রী হায়দার আলি সফি।
পুলিসের দিনভর চেষ্টার পর জেলে পৌছেছিলেন। কিন্তু, সেল পর্যন্ত গেলেন না মদন মিত্র। জেল সুপারের ঘর থেকেই শরণ নিলেন চিকিত্সকের। জানালেন, অসুস্থ বোধ করছেন। মদন মিত্রের দাবি মেনে , তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল জেল হাসপাতালে। কিন্তু, SSKM -র একাধিক মেডিক্যাল টেস্টে শারীরিক অসুস্থতার হদিশ না মেলার পরও কেন জেল হাসাপাতালে মন্ত্রী? কর্তৃপক্ষের যুক্তি, স্লিপ অ্যাপনিয়া থাকায় বদ্ধ জায়গায় থাকতে পারেন না মদন মিত্র
রাতে প্রায়ই মন্ত্রীকে অক্সিজেন দিতে হয়, সেলের ভিতর তা সম্ভব নয়। হাইপ্রোফাইল বন্দির ক্ষেত্রে কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না জেল কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রীর জন্য জেল হাসপাতালেই জামাই আদরের ব্যবস্থা হয়। তড়িঘড়ি খালি করে দেওয়া হয় ৪নং ওয়ার্ড। দু-তিনজন বন্দিকে হটিয়ে মদন মিত্রকে ৫ নং বেডে ভর্তি করা হয়। এলাহি খাবারের ব্যবস্থা থাকলেও, কিছুই মুখে তোলেননি মন্ত্রী। একশো গ্রাম মুড়ি খেয়ে দুপুরে বিশ্রাম নেন।
তবে,রাজ্যের খবরাখবর নিতে ভোলেননি। তিন-তিনটে বাংলা খবরের কাগজ পড়েন মন্ত্রী। এমনকি তাঁর ফাই ফরমাশ খাটার জন্য নিযুক্ত হয়েছেন এক বন্দি। আপাতত চার নং ওয়ার্ডে থাকলেও, মনপসন্দ নয় মদন মিত্রের। তাঁর ইচ্ছানুযায়ী, আগামীদিনে তাঁকে ৬নং ওয়ার্ডে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সেজন্য ওয়ার্ডে পড়ছে রংয়ের প্রলেপ। তবে, জেল হাসপাতালেও নিস্তার নেই মদনের। সারদা কেলেঙ্কারিতে সর্বশ্রান্ত অনেকের আত্মীয়ই রয়েছেন জেলে। তাই, মদন মিত্রের নিরাপত্তার জন্য জেল হাসপাতালে অতিরিক্ত নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন হয়েছে।