চুরিতে বাধা দেওয়ার জেরে নারকেলডাঙায় খুন কারখানা মালিক
চুরিতে বাধা দেওয়ায় খুন হলেন কারখানা মালিক। নারকেলডাঙা থানার নাকের ডগায় খুনের পরে চোর অবশ্য ঘর থেকে পালাতে পারেনি। এলাকার বাসিন্দাদের তত্পরতায় শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যায় খুনী চোর।
চুরিতে বাধা দেওয়ায় খুন হলেন কারখানা মালিক। নারকেলডাঙা থানার নাকের ডগায় খুনের পরে চোর অবশ্য ঘর থেকে পালাতে পারেনি। এলাকার বাসিন্দাদের তত্পরতায় শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যায় খুনী চোর।
নারকেলডাঙা থানার ঠিক সামনেই ক্যানাল ইস্ট রোড এলাকায় জুতোর কারখানা সাদাব মণ্ডলের। রবিবার রাতে কারখানায় একা ঘুমোচ্ছিলেন সাদাব মণ্ডল। ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ প্রতিবেশীরা তাঁর আর্তনাদ শুনতে পান। অনেক ডাকাডাকির পরও সাদাবের সাড়া না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে প্রতিবেশীরা দেখেন ঘরের মেঝেয় রক্তের দাগ। চাদর জড়ানো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন সাদাব। প্রতিবেশীরা জানান, ঘর থেকে অপরিচিত এক যুবক তাঁদের জানায়, মৃগীতে আক্রান্ত হওয়ায় চাদর জড়িয়ে রাখা হয়েছে সাদাবকে। সন্দেহ হওয়ায় ঘরের দরজা আটকে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে যান নারকেলডাঙা থানায়। পুলিস দেখে টালি সরিয়ে পালানোর চেষ্টা করে দুষ্কৃতী। কিন্তু পালানো হয়নি। হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় ওই যুবক।
উদ্ধারের পরও জীবিত ছিলেন সাদাব মণ্ডল। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএস হাসপাতালে। সেখানেই চিকিতসকরা সাদাবকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ধৃতের নাম মহম্মদ সেলিম ওরফে চোর রাজু। পুলিসের অনুমান, কারখানায় চুরি করতেই ঢুকেছিল ওই দুষ্কৃতী। সাদাব জেগে যাওয়ায়, বাটালি নিয়ে তাঁর ওপর চড়াও হয় রাজু।