`তিন কন্যা` বিতর্কেও মিডিয়ার `ভূত` দেখছেন মমতা

`তিন কন্যা`বিতর্কের দায়ও মিডিয়ার ঘাড়ে চাপালেন মমতা ফেসবুক, মিডিয়া, কংগ্রেস। সাম্প্রতিককালে জনগণের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা মানেই এই শব্দগুলোই জড়িয়ে থাকে। `তিন কন্যা` সিনেমা নিয়ে চলা দেশজুড়ে বিতর্কের মাঝে মুখ্যমন্ত্রী এবারও সেই ফেসবুকের স্মরণাপন্ন। `তিন কন্যা` বিতর্কের যাবতীয় দায়ভার মিডিয়ার ঘাড়ে চাপিয়ে মমতার দাবি, সরকারকে বদনাম করতেই পরিকল্পনামাফিক প্রচার করতেই এসব করা হচ্ছে। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আর বলেন, কিছু মিডিয়ার এই অপপ্রচারের পিছনে কায়েমি স্বার্থ জড়িয়ে আছে।

Updated By: Nov 5, 2012, 07:31 PM IST

তিন কন্যা`বিতর্কের দায়ও মিডিয়ার ঘাড়ে চাপালেন মমতা ফেসবুক, মিডিয়া, কংগ্রেস। সাম্প্রতিককালে জনগণের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা মানেই এই শব্দগুলোই জড়িয়ে থাকে। `তিন কন্যা` সিনেমা নিয়ে চলা দেশজুড়ে বিতর্কের মাঝে মুখ্যমন্ত্রী এবারও সেই ফেসবুকের স্মরণাপন্ন।
`তিন কন্যা` বিতর্কের যাবতীয় দায়ভার মিডিয়ার ঘাড়ে চাপিয়ে মমতার দাবি, সরকারকে বদনাম করতেই পরিকল্পনামাফিক প্রচার করতেই এসব করা হচ্ছে। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আর বলেন, কিছু মিডিয়ার এই অপপ্রচারের পিছনে কায়েমি স্বার্থ জড়িয়ে আছে। তাতে সামিল হচ্ছে কংগ্রেস ও সিপিআইএম। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সরকার দারুণ কাজ করছে। দুর্গাপূজো, ইদের মত উত্‍সবে পুলিসও দারুণ কাজ করেছে। আর এসব থেকে চোখ ঘোরাতেই পরিকল্পনা করে `তিন কন্যা` বিতর্ক তুলে ধরা হচ্ছে। তাঁর দাবি সরকার যদি কোনও সিনেমাকে নিষিদ্ধই করে তাহলে কী করে তা রাজ্যের বিভিন্ন হলে সেটা চলছে। অপপ্রচারে কান দিতে নিষেধ করে মমতা যাবতীয় বিতর্ক থেকে হাত ধুতে চাইলেন ফেসবুকে।
মমতার এদিনের ফেসবুক বার্তায় ছিল বেশ কিছু পুরনো অভিযোগও। বিগত ৩৪ বছরে বাম আমলের ব্যর্থতা, সরকারের রাজকোষ শূন্য, এফডিআই ইস্যুতে কেন্দ্রের সমালোচনা সব কিছু চলল `তিন কন্যা` সাফাইয়ের সঙ্গে সঙ্গেই। সঙ্গে আরও একবার জানিয়ে রাখলেন মানুষের স্বার্থেই আমাদর দলের মন্ত্রীরা কেন্দ্রে সরকার ছেড়েছে। অবশ্য `সাজানো ঘটনা` শব্দযুগলকে এবারে আর ব্যবহার করেননি মুখ্যমন্ত্রী।

শনিবার থেকেই খবরের শিরোনামে সদ্য মুক্তি প্রাপ্ত ছায়াছবি তিন কন্যা। পুরসভার অধীনে থাকা প্রেক্ষাগৃহ স্টারে তিন কন্যা দেখানো হবে কিনা সেই নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের জট কাটছে না এখনও। স্টারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছবির পরিচালক ও পরিবেশক কি হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন, না আইনি লড়াইয়ে যাবেন ? তিন দিন গড়িয়ে গেলেও প্রশ্নের উত্তর বোধহয় এখনও জানা নেই পরিচালক ও পরিবেশকেরই।
আইনি লড়াইয়ে যাওয়া হবে কিনা সেই নিয়ে সকাল থেকেই নাটক চলছে। এক এক জন বলেছেন এক একরকম কথা। বারবার সিদ্ধান্ত বদলেছে। সকালে পরিবেশক সংস্থার আইনজীবী অসীম চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁরা আদালতে যাচ্ছেন না। এই খবর জেনেই পরিবেশক সংস্থার চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। চেয়ারম্যান অবশ্য ঋতুপর্ণাকে আইনি লড়াইয়ের আশ্বাস দিয়েছেন। এরপরই পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় ২৪ ঘণ্টাকে জানান, পুজোর ছুটির পর আদালত খুললেই তাঁরা হাইকোর্টে যাবেন। পরিস্থিতি বুঝে নিজের বক্তব্য থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যান আইনজীবীও। বিকেলে আইনজীবী বলেন, তিনি আদালতে না যাওয়ার কথা কখনই বলেননি। আইনি লড়াইযের পথেই তাঁরা সমস্যার চান।

.