জ্বালানি নিয়ে বিভ্রান্তি, মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট কাণ্ডে সাসপেন্ড ইন্ডিগোর দুই পাইলট
মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাটকাণ্ডের জের। DGCA-র প্রাথমিক তদন্তে সাসপেন্ড হলেন ইন্ডিগোর দুই পাইলট। জ্বালানি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির দায়ে শাস্তির কোপে এয়ার ইন্ডিয়া, স্পাইস জেটের আরও চার পাইলটও। শাস্তিতে অসন্তুষ্ট ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ। তিন বিমান সংস্থা স্পাইস জেট, এয়ার ইন্ডিয়া ও মুখ্যমন্ত্রী যে বিমানে ছিলেন সেই ইন্ডিগোর পাইলট, কো-পাইলট মিলিয়ে ছ'জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আপাতত প্লেন চালাতে পারবেন না তাঁরা। ঘটনার দিন পাইলটদের বক্তব্যে জ্বালানি নিয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়, এর দায় পাইলটদেরই। প্রাথমিক তদন্তের পর এটাই মত DGCA-র।
ওয়েব ডেস্ক : মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাটকাণ্ডের জের। DGCA-র প্রাথমিক তদন্তে সাসপেন্ড হলেন ইন্ডিগোর দুই পাইলট। জ্বালানি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির দায়ে শাস্তির কোপে এয়ার ইন্ডিয়া, স্পাইস জেটের আরও চার পাইলটও। শাস্তিতে অসন্তুষ্ট ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ। তিন বিমান সংস্থা স্পাইস জেট, এয়ার ইন্ডিয়া ও মুখ্যমন্ত্রী যে বিমানে ছিলেন সেই ইন্ডিগোর পাইলট, কো-পাইলট মিলিয়ে ছ'জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আপাতত প্লেন চালাতে পারবেন না তাঁরা। ঘটনার দিন পাইলটদের বক্তব্যে জ্বালানি নিয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়, এর দায় পাইলটদেরই। প্রাথমিক তদন্তের পর এটাই মত DGCA-র।
৩০ নভেম্বর রাতে অবতরণের জন্য মোট ছটি বিমান আকাশে অপেক্ষা করছিল। তাদের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বিমানটি ছিল সবচেয়ে শেষে অর্থাত্ ছ-নম্বরে। একইসঙ্গে তিনটি বিমান জানায় , তারা লো অন ফুয়েল অর্থাত্ জ্বালানি কম রয়েছে। সেগুলি ছিল স্পাইস জেট, এয়ার ইন্ডিয়া ও মুখ্যমন্ত্রী যে বিমানে ছিলেন সেই ইন্ডিগোর বিমানটি। ইন্ডিগোর বিমানটি এমনিতেই এক্সটেন্ডেড রুটে চলছিল। দিল্লি-লখনউ-পাটনা-কলকাতা হয়ে বেঙ্গালুরু উড়ে যাওয়ার কথা ছিল বিমানটির সেখানে কলকাতায় নামতে গিয়েই যত কাণ্ড।
নিয়ম অনুযায়ী, অবতরণে অগ্রাধিকার চাইলে পাইলটকে বলতে হয়, আই অ্যাম অন লো ফুয়েল। নিড প্রায়োরিটি ল্যান্ডিং। মুখ্যমন্ত্রীর বিমানের পাইলট শুধুমাত্র আই অ্যাম অন লো ফুয়েল জানিয়েই থেমে যান বলে দাবি ATC-র। তাদের বক্তব্য, পাইলটের কথা শুনে মনে হয়েছিল তিনি অবতরণে অগ্রাধিকার চাইছেন। তাই বিমান ছাড়া বন্ধ রেখে DGCA-এর গাইডলাইন মেনেই মুখ্যমন্ত্রীর বিমানটি নামিয়ে আনা হয়। এয়ার ইন্ডিয়া ও স্পাইস জেটের বিমানদুটিকেও জরুরি ভিত্তিতে নামানো হয়। অবতরণে অগ্রাধিকার পেতেই, বিমানচালকরা জ্বালানি সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দেন বলে মনে করছে DGCA। সেকারণেই শাস্তির কোপে পাইলটরা।
এই শাস্তি নিয়ে অবশ্য নাখুশ ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ। তাদের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, অন্তর্তদন্তে পাইলটদের কোনও গাফিলতি পায়নি তারা। সব নিয়ম মেনেই কাজ হয়েছে। পাইলট কখনই বলেননি, প্রায়োরিটি বা ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং প্রয়োজন। তবে যেহেতু DGCA তদন্ত চালাচ্ছে, তাই তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের দুই পাইলটকে অফ ফ্লাইং ডিউটি রাখা হচ্ছে। এয়ার ইন্ডিয়া তাদের দুই পাইলটকে ফের একদফা প্রশিক্ষণে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে । আরও পড়ুন, অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর