'ফোনের ক্যামেরায় প্লাস্টার লাগিয়ে দিয়েছি', পেগাসাস-কাণ্ডে কেন্দ্রকে তোপ Mamata-র
'গণতন্ত্রের পরিবর্তে গোয়েন্দাগিরি চলছে দেশে।' পেগাসাস-কাণ্ডে মমতার (Mamata Banerjee) নিশানায় কেন্দ্র।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গণতন্ত্রের পরিবর্তে গোয়েন্দাগিরি চলছে দেশে। 'পেগাসাস' নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিজের ফোনের ক্যামেরায় 'প্লাস্টার' করে দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি করলেন নেত্রী। মঞ্চে তুলে দেখালেন ফোন। মমতা বলেন,'আমাদের ফোন ট্যাপ হয়েছে। এটা রেকর্ডার। পেগাসাস ডেঞ্জারাস, ফেরোসাস। শান্তিপূর্ণভাবে লোককে থাকতে দিচ্ছে না। দেশে স্বৈরাচার চলছে।'
ফোনে আড়িপাতার জন্য কারও সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না বলেও দাবি করেন মমতা (Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়,'আমি চিদম্বরমজির সঙ্গে কথা বলতে পারছি না। শরদ পাওয়ারজির সঙ্গে কথা বলতে পারি না। কথা বলতে পারছি না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলতে পারি না। কেন? পেগাসাস কী জানেন? গরিবদের টাকা দেওয়ার পরিবর্তে প্রচুর টাকা খরচ করছেন গোয়েন্দাগিরিতে। স্পাইং, বিটিং, কিলিং অ্যান্ড টকিং টু মাচ ডুয়িং নাথিং।'
সাধারণ মানুষের করের টাকায় আড়িপাতায় খরচ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মমতা (Mamata Banerjee)। বলেন,'পেগাসাসের নামে আমার, আপনার, সবার ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। আপনি বাড়িতে কখন ঘুমোচ্ছেন, কী খাচ্ছেন সেটাও ফোনে দেখা যাবে। আপনার ব্রেনটাও স্ক্যান করে নিচ্ছে। ২ মাসে ৪৭ বার বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দাম। পেট্রোল, ডিজেল থেকে কর বাবদ ৩.৭ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে ভারত সরকার। কোথায় এই টাকা খরচ করছে? লোকে ওষুধ, টিকা পাচ্ছে না। কোথায় পিএম কেয়ার ফান্ডের টাকা? কে হিসাব রাখছে?'
'ফোন হ্যাকিং' রুখতে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন তা-ও জানান নেত্রী। নিজের ফোন দেখিয়ে তিনি বলেন,'আমি একটা জিনিস করেছি। ফোনটা প্লাস্টার করে দিয়েছি। ফোন রেখে কী করব? ক্যামেরায় সব তুলে নেয়। অডিয়ো, ফেসটাইম, ভিডিয়ো করলে উঠে যায়। ক্যামেরায় প্লাস্টার লাগিয়ে দিয়েছি।'
এরপরই একুশের মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রীর আগামীর বার্তা,'ভারত সরকারকেও প্লাস্টার লাগানো উচিত। নইলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। কেউ কাউকে ভরসা করতে পারছে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ফোনও ট্যাপ হচ্ছে। মন্ত্রীদের ফোনে ঢুকে গিয়েছে পেগাসাস। সব নেতা ও বিচারপতিদের ফোনে পেগাসাস। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত। বিজেপি গণতন্ত্র ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করেছে। গণতন্ত্রের তিনটি স্তম্ভ- নির্বাচন, মিডিয়া ও বিচারব্যবস্থা। পেগাসাস নির্বাচনী প্রক্রিয়া, বিচার ব্যবস্থা, রাজনৈতিক নেতা ও মিডিয়া হাউসকে দখল করেছে। সব প্রতিষ্ঠানকে ওদের কথা শুনতে হবে। নইলে ওরা ব্ল্যাকমেইল করবে। গণতন্ত্রের বদলে দেশে গোয়েন্দাগিরি চলছে। সবার মুখ বন্ধ। আজ আমাদের এককাট্টা হওয়া উচিত। ব্যক্তি-স্বার্থ ভুলে দেশতে বাঁচাতে হবে। একটাই স্বার্থ দেশকে বাঁচানো। জনতাকে বাঁচানো।'
আরও পড়ুন- তবু মুখরক্ষা হয়নি বাংলায়,অভাগাদের জন্য ২ মিনিট নীরবতা,ফোনে আড়িপাতাকাণ্ডে Abhishek