'মিথ্যেবাদী মুখ্যমন্ত্রী', বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, চাঁছাছোলা আক্রমণ রাহুলেরও
পাশাপাশি, মহরমের শোভাযাত্রার জন্য দুর্গাপুজোর নিরঞ্জন বন্ধ রাখা নিয়েও টুইটারে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : 'মিথ্যেবাদী মুখ্যমন্ত্রী।' বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ। এদিন বিরাটিতে সদস্যতা রিভিউ মিটিংয়ে যোগ দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'মিথ্যেবাদী' বলে তোপ দাগেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
দুর্গাপূজা কমিটিগুলিকে আয়কর নোটিসের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদে পথে নেমেছে তৃণমূল। কাল দিনভর ধরনা কর্মসূচি পালন করে তৃণমূলের বঙ্গজনননী বাহিনী। এদিন সেই ধরনাকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ চাঁছাছোলা বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কত বড় মিথ্যেবাদী! সারা পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে মিথ্যা কথা বলে খেপাচ্ছেন। তাঁর চেলা-চামুণ্ডারা তো আরওই...তাঁদের কোনও কাণ্ডজ্ঞানই নেই।" এখানেই শেষ নয়। তাঁর সাফ প্রশ্ন," ইনকাম ট্যাক্স কী করেছে বা করতে পারে? কেন মিথ্যা কথা বলে বাংলার জনগণকে খেপানো হচ্ছে? এই মিথ্যার জবাব কে দেবে?" দুর্গাপুজো নিয়ে বাঙালির সেন্টিমেন্টকে ক্ষেপানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্মতলায় গিয়ে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও তোপ দাগেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
শুধু একা দিলীপ ঘোষ নয়। দুর্গাপুজোকে আয়কর দফতরের নোটিস বিতর্ককে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে মাঠে নেমে পড়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাও। তৃণমূলের শীর্ষস্তরের কয়েকজন নেতা দুর্গাপুজোয় চিটফান্ড ও কাটমানির টাকা ব্যবহার করছেন। আর সেই তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে বলেই তৃণমূল আতঙ্কিত বলে তোপ দাগেন তিনি। পাশাপাশি, মহরমের শোভাযাত্রার জন্য দুর্গাপুজোর নিরঞ্জন বন্ধ রাখা নিয়েও টুইটারে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, পুজো কমিটিকে আয়কর দফতরের নোটিস বিতর্কের মধ্যেই গতকাল সিবিডিটি এক বিবৃতি জারি করে জানায় যে, খবরটি ভুয়ো। এধরনের কোনও নোটিস চলতি বছরে পাঠানো হয়নি। আয়কর দফতর আজ সাফাই দিয়ে জানায়, ২০১৮ সালে ডিসেম্বরে আয়কর আইনের ১৩৩ (৬) সেকশনে নোটিস পাঠানো হয়েছিল ৩০টি পুজো কমিটিকে। ওই নোটিসে শুধুমাত্র জানতে চাওয়া হয় পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদার এবং ইভেন্ট ম্যানেজারের পেমেন্ট নিয়ে। যাঁরা এখনও পর্যন্ত রিটার্ন ফাইল করেননি। টিডিএস-এর খতিয়ানও চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন, জল্পনার অবসান, আজই বিজেপি যোগ দিচ্ছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়
উল্লেখ্য, এই নোটিস নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করতেই শুরু হয়ে যায় তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতর। নোটিস ঘিরে বিতর্ক শুরু হতেই সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সেস-এর চেয়ারপার্সন পিসি যোশী আয়করের পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের প্রিন্সিপ্যাল কমিশনার বিশ্বনাথ ঝা-এর কাছে এই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। গোটা ঘটনা সম্পর্কে জানতে চেয়ে তলব করা হয় রিপোর্টও।