'হিংসা নয়, গণতান্ত্রিক পথেই আন্দোলন করতে হবে,' স্পষ্ট বার্তা মমতার

" যারা আপনাদের পাশে আছে, তাদের বিরেধিতা কেন করছেন? এই লড়াই কোনও একটি ধর্ম, বর্ণ, জাতির লড়াই নয়। এ লড়াই দেশবাসীর লড়াই।"

Edited By: সুদেষ্ণা পাল | Updated By: Dec 16, 2019, 03:31 PM IST
'হিংসা নয়, গণতান্ত্রিক পথেই আন্দোলন করতে হবে,' স্পষ্ট বার্তা মমতার
ছবি সৌজন্যে কমলিকা সেনগুপ্ত

নিজস্ব প্রতিবেদন : "আমি হিংসা পছন্দ করি না। হিংসাত্মক পথে কোনও আন্দোলন নয়। গণতান্ত্রিক পথেই আন্দোলন করতে হবে।" নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে প্রথমদিনের পদযাত্রার শেষে স্পষ্ট বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিন দুপুরে ধর্মতলায় বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হয় মিছিল। জওহরলাল নেহরু রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ হয়ে মিছিল পৌঁছয় জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে। মিছিল শেষের পর জনসভা থেকে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে নিশানা করেন দিল্লির বিজেপি সরকারকেও।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "পোস্ট অফিস, ট্রেনে আগুন দেবেন না। রাস্তা অবরোধ করবেন না। সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়ছে। সাধারণ মানুষের অসুবিধা করবেন না। যারা আপনাদের পাশে আছে, তাদের বিরেধিতা কেন করছেন? এই লড়াই কোনও একটি ধর্ম, বর্ণ, জাতির লড়াই নয়। এ লড়াই দেশবাসীর লড়াই।" গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করার ডাক দেন তিনি। সতর্ক করেন, "কেউ কেউ নিজের আখের গোছানোর জন্য অশান্তি পাকাচ্ছে। টাকার বদলে কেউ কেউ বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কোনও কোনও জায়গায় অশান্তি পাকাচ্ছেন।" কোনওরকম প্ররোচনায়, ফাঁদে পা না দিতে সাবধান করেন মুখ্যমন্ত্রী।  

এদিন জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তোপ দাগেন, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে। তিনি স্পষ্ট জানান, "কোনও বিএসএফ, সিআইএসএফ, সিআরপিএফ চাই না। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এরাজ্যের পুলিসই অশান্তি থামাবে।" হুঁশিয়ারি দেন, "বিজেপি ক্ষমতায় এসে নিজেকে আকাশের থেকে বড় ভাবছে। সূর্য, চাঁদ সবার থেকে বড় ভাবছে। সবকা সাথ নেহি রহেগা তো সবকা বিকাশ ক্যায়সে হোগা? সিএবি-এআরসি ললিপপের এপিঠ-ওপিঠ। প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে এনআরসি ও ক্যাব করতে হবে।"

আরও পড়ুন, উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ফিরহাদকে গ্রেফতারির দাবিতে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের জেরে শুক্রবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি-হিংসা ছড়িয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনে পাথক ছোড়া, ট্রেনে আগুন দেওয়া, অবরোধের মতো ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে একের পর এক ট্রেন বাতিল করেছে রেল। সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত পরিষেবা। রেলের প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষতি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়নি পরিস্থিতি। আজ জোড়সাঁকোর জনসভা থেকে ট্রেন বাতিলের জন্য দিল্লির বিজেপি সরকারকেই কাঠগড়ায় তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

.