কুনাল জেলে, তাই তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকায় কেনা হলেও অ্যাম্বুলেন্সে নাম না লেখার সিদ্ধান্ত মমতার

আগামী ১১ জানুয়ারি কুণাল ঘোষসহ চার দলীয় সাংসদের তহবিলের টাকায় কেনা ১১৫টি অ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এখনও সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেননি কুণাল ঘোষ। কিন্তু সারদাকাণ্ডে নাম জড়ানোয় আপাতত তিনি কারাবাসে। তাই অ্যাম্বুলেন্সের গায়ে কুণাল ঘোষের নাম লিখতে চায় না সরকার। বিতর্ক এড়াতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, সাংসদ তহবিলের টাকায় কেনা হলেও কোনও সাংসদের নাম লেখা হবে না অ্যাম্বুলেন্সের গায়ে।

Updated By: Jan 8, 2014, 11:30 PM IST

আগামী ১১ জানুয়ারি কুণাল ঘোষসহ চার দলীয় সাংসদের তহবিলের টাকায় কেনা ১১৫টি অ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এখনও সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেননি কুণাল ঘোষ। কিন্তু সারদাকাণ্ডে নাম জড়ানোয় আপাতত তিনি কারাবাসে। তাই অ্যাম্বুলেন্সের গায়ে কুণাল ঘোষের নাম লিখতে চায় না সরকার। বিতর্ক এড়াতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, সাংসদ তহবিলের টাকায় কেনা হলেও কোনও সাংসদের নাম লেখা হবে না অ্যাম্বুলেন্সের গায়ে।

তহবিল সংক্রান্ত আইনের তোয়াক্কা না করে মুখ্যমন্ত্রীর এই নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ, সুখেন্দুশেখর রায়, বিবেক গুপ্তা এবং নাদিমুল হক। ১১ জানুয়ারি কলকাতা পুরসভার সামনে থেকে এই চারজন সাংসদের টাকায় কেনা একশো পনেরোটি অ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর বিভিন্ন জেলায় সেগুলি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্স পিছু খরচ হয়েছে ৫ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা। একশো পনেরোটির মধ্যে চল্লিশটি অ্যাম্বুলেন্স কেনা হয়েছে তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষের সাংসদ তহবিলের টাকায়।

তহবিল সংক্রান্ত আইন বলছে, যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির নামে খরচ করা হবে, তাঁর নাম লিখতে হবে। কিন্তু তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ বর্তমানে কারাবাসে রয়েছেন। তাই তাঁর নাম অ্যাম্বুলেন্সের গায়ে লিখলে বিতর্কে জড়াতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, কুণাল ঘোষসহ অন্য তিন সাংসদের নাম অ্যাম্বুলেন্সে লেখা হয়ে গিয়েছিল। পরে মুখ্যমন্ত্রী র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপত্তিতে কুণাল ঘোষের নাম মুছে ফেলা হয় । কিন্তু প্রশ্ন ওঠে কুণাল ঘোষের সাংসদ তহবিলের টাকায় কেনা অ্যাম্বুলেন্সের গায়ে তাঁর নাম লেখা না হলে কেউ জনস্বার্থ মামলা করতে পারেন। এমনকী কারাগারে থেকেও তাঁর আইনজীবীকে দিয়ে মামলা করতে পারেন স্বয়ং কুণাল ঘোষও। এরপরই পুর কমিশনার খলিল আহমেদকে মুখ্যমন্ত্রী লিখিত নির্দেশ দেন যাতে কোনও সাংসদেরই নাম অ্যাম্বুলেন্সের গায়ে লেখা না হয়।

মুখ্যমন্ত্রীর মত সাংবিধানিক পদে থেকে এই নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত কি নেওয়া যায়?

কেন্দ্রীয় সরকারের সাংসদ তহবিলের টাকা , অথচ কাউকে কিছু না জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে কিভাবে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন?

এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তহবিল সংক্রান্ত আইন ভঙ্গেরও অভিযোগ উঠতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।

সাংসদ বা বিধায়ক তহবিলের টাকা খরচের ব্যাপারে নোডাল এজেন্সি হিসাবে কাজ করে পুরসভা। এক্ষেত্রেও নোডাল এজেন্সি হিসাবে কাজ করছে কলকাতা পুরসভা। মুখ্যমন্ত্রীর লিখিত নির্দেশ আসার পর পুরসভায় দফায় দফায় বৈঠকও হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে সাংসদদের নাম ছাড়াই সাংসদ তহবিলের টাকায় কেনা অ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

.