তোলাবাজদের এবার দলেও জায়গা নেই, হুঁশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সিন্ডিকেট তোলাবাজির দাপট কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দলের অন্দরেও সেই বার্তা স্পষ্ট করার উদ্যোগ। দলীয় কাউন্সিলরদের ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত। গাইড লাইন না মানলে কড়া শাস্তির ভাবনা। কারণ তাঁর কড়া বার্তা আর চলবে না সিন্ডিকেট রাজ
ওয়েব ডেস্ক : সিন্ডিকেট তোলাবাজির দাপট কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দলের অন্দরেও সেই বার্তা স্পষ্ট করার উদ্যোগ। দলীয় কাউন্সিলরদের ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত। গাইড লাইন না মানলে কড়া শাস্তির ভাবনা। কারণ তাঁর কড়া বার্তা আর চলবে না সিন্ডিকেট রাজ
চলবে না তোলাবাজিও। তোলাবাজদের দৌরাত্ম্য কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। রেয়াত করা হবে না সিন্ডিকেটের দাদাগিরিও। জড়িতদের তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে কোনও স্থান নেই। গতকালই প্রশাসনকে এ নিয়ে আরও কড়া হতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- পরিবহণ ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ নিবেদিতা সেতুর টোল প্লাজার কর্মীদের বিরুদ্ধে
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় হোক বা কালীঘাটের বাড়ি, প্রতি দিনই শিল্পপতি থেকে সাধারণ কৃষক তোলাবাজির অভিযোগ এনে তৃণমূল নেত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ দলের কাউন্সিলরদেরই বিরুদ্ধে।
এই মুহূর্তে তৃণমূলের প্রায় ২২০০ পুর প্রতিনিধি রয়েছেন। তাদেরকেই এবার কড়া শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে চাইছে দল। অগাস্টের শেষেই কাউন্সিলরদের ক্লাস নেওয়া হবে। ক্লাস নেবেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম।
তবে, প্রশ্ন কেন কাউন্সিলরদের ক্লাস?
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় থেকে ডাম্পি মণ্ডল। বারবার উঠেছে সিন্ডিকেটরাজের অভিযোগ। তোলাবাজিতে নাম জড়িয়েছে একাধিক কাউন্সিলরের। নেতৃত্বের মতে, এক্তিয়ারের বাইরে বহু বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন কাউন্সিলররা। জমি-বাড়ির সমস্যাতো বটেই, এমনকী পারিবারিক সমস্যাতেও তারা জড়িয়ে পড়ছেন। আর এই বিষয়গুলিই অনেক ক্ষেত্রে দলকে বিড়ম্বনায় ফেলছে। কাউন্সিলরদের কাজ নিয়ে দল একটি গাইডলাইন তৈরি করছে। বই আকারে এই গাইড লাইন কাউন্সিলরদের দেওয়া হবে। সেই গাইড লাইন না মেনে চললেই শাস্তির মুখে পড়বেন কাউন্সিলররা।
সিন্ডিকেট তোলাবাজির বিরুদ্ধে প্রশাসনকে রাজনৈতিক রং না দেখে আগেই ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ নিয়েছেম মুখ্যমন্ত্রী। এবার দলের অন্দরেও অনুশাসনের মাত্রা বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাউন্সিলররা কতটা গাইড-লাইন মেনে চলবেন সেটাই দেখার।