Abhishek Banerjee on Mahua Moitra: 'নিজের লড়াই লড়ে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে মহুয়ার'
Abhishek Banerjee on Mahua Moitra: অভিষেক বলেন, কিছু ডকুমেন্ট আমার কাছ থেকে চাওয়া হয়েছিল। কোর্টের অর্ডার অনুয়ায়ী গত ১০ অক্টোবর কিছু নথি আমি দিয়েছিলাম। সেটা দেখার পর ইডি আরও একটি সমন পাঠায় ও কিছু নথি চেয়ে পাঠায়। একইসঙ্গে আমাকে হাজিরা হতে বলা হয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইডির দফতরে হাজিরার পর কেন্দ্রকে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গতবার যখন সল্টলেকে ইডি দফতরে গিয়েছিলেন সেবার তিনি বেরিয়ে এসেছিলেন প্রায় ৯ ঘণ্টা পর। আর বৃহস্পতিবার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই বেরিয়ে এলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তার পর তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের কথা উঠতেই বিজেপি নিশানা করলেন তিনি।
আরও পড়ুন-বিপাকে মহুয়া, ৫০০ পাতার রিপোর্টে সাংসদ পদ খারিজের প্রস্তাব এথিক্স কমিটির
উল্লেখ্য, গতকাল 'টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন' বিতর্কে মহুয়া মৈত্রের সাংসদপদ খারিজের সুপারিশ করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। কমিটির মতে,'এই ঘটনার তদন্ত করা উচিত ভারত সরকারের'। জমা পড়ল পাঁচশো পাতার রিপোর্ট। গত বৃহস্পতিবার ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন বিতর্কে এথিক্স কমিটির সামনের হাজিরা দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কিন্তু মাঝ-পথেই বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ-সহ বিরোধীরা। কেন সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ? লোকসভার পোর্টালে প্রত্যেক সাংসদের আলাদা লগইন ও পাসওয়ার্ড থাকে। এথিক্স কমিটি রিপোর্টে উল্লেখ, 'সেই লগইন ও পাসওয়ার্ড শেয়ার করেছিলেন মহুয়া। এরপরই দেশের বাইরে থেকে পোর্টালে লগ ইন করা হয়। কমিটির মতে, 'স্রেফ অনৈতিক নয়, এই কাজ সংসদের অবমাননা'। কমিটির আরও সুপারিশ, 'টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন' বিতর্কে কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত করা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের'।
বৃহস্পতিবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে এলে মহুয়া মৈত্রের সাংসদপদ খারিজের বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। সেই প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক বলেন, এথিকস কমিটিতে বহু মামলাই পড়ে রয়েছে। এক দেড় মাস আগে যখন নয়া সংসদভাবনে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয় তখন সেই অধিবেশনে বিজেপি সাংসদ রমেশ বিদুড়ি অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। সংসদের গরিমা নষ্ট করেছিলেন। এরকম বিজেপির বহু সাংসদ রয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ মোশন আনা হয়েছিল। কিন্তু তার কোনও শুনানি হয়নি। কেউ যদি সরকারকে প্রশ্ন করতে চায়, আদানিদের অনিয়ম নিয়ে জানতে চায় তাহলে কীভাবে তার সাংসদ পদ খারিজ করতে চাওয়া হয় তা এখন দেখা যাচ্ছে। এথিকস কমিটির সুপারিশের নথির যে অংশ আমার কাছে এসেছে তাতে এথিকস কমিটির চেয়ারম্যান লিখেছেন, এঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে পদক্ষেপ নেওয়া হোক। আমার প্রশ্ন, যদি মহুয়ার বিরুদ্ধে কিছু না থাকে তাহলে আপনি কীভাবে সাংসদপদ খারিজের সুপারিশ করতে পারেন? আমার মনে হয়, নিজের লড়াই নিজেই লড়ে নেওয়ার ক্ষমতা মহুয়া মৈত্রের রয়েছে। আমাকেও গত চার বছর ধরে ডেকে পাঠানো হচ্ছে, বিভিন্ন মামলায় জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এটা এদের কাজের পদ্ধতি। এসব প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয়।
এদিন অভিষেক আরও বলেন, কিছু ডকুমেন্ট আমার কাছ থেকে চাওয়া হয়েছিল। কোর্টের অর্ডার অনুয়ায়ী গত ১০ অক্টোবর কিছু নথি আমি দিয়েছিলাম। সেটা দেখার পর ইডি আরও একটি সমন পাঠায় ও কিছু নথি চেয়ে পাঠায়। একইসঙ্গে আমাকে হাজিরা হতে বলা হয়। সেই তলব অনুযায়ী আজ এসেছি। যখন যেখানে আমাকে ডেকেছে তখন আমি গিয়েছি। আগামী দিনে ডাকলেও আসব। যেসব নথি চাওয়া হয়েছিল তা আজ দিয়েছি। প্রায় ৬ হাজার পাতার নথি। তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করেছি। ভবিষ্যেতও করব। নবজোয়ার কর্মসূচির মধ্যে এসেছি, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের মধ্যেও এসেছি। আজ ডাকা হয়েছিল। এসেছি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)