মাদ্রাসা বিতর্কে বিধানসভায় ঝড়, কেন্দ্রের রিপোর্টে সরব কংগ্রেস

এবিষয়ে যৌথ প্রস্তাব আনার জন্য সওয়াল করেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

Updated By: Jul 3, 2019, 01:55 PM IST
মাদ্রাসা বিতর্কে বিধানসভায় ঝড়, কেন্দ্রের রিপোর্টে সরব কংগ্রেস

নিজস্ব প্রতিবেদন:  মাদ্রাসা বিতর্কে বিধানসভায় ঝড়। বুধবার অধিবেশনের শুরুতেই ক্ষোভ উগরে দেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। তাঁর যুক্তি ১৪০০ বছর ধরে বাংলায় মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা চলছে। সেখানে হঠাত্ করে এখানকার মাদ্রাসাগুলিকে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর বলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদীত।  

 

আবদুল মান্নান বলেন, “অনেক ছাত্র পড়ে মাদ্রাসাতে। অনেক হিন্দু শিক্ষকও রয়েছেন। কেন্দ্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে যদি কেউ এধরনের কথা বলেন, তা সংবিধানবিরোধী। বাংলার কথা উল্লেখ করে, বাংলার সংস্কৃতি-কৃষ্টিকে আঘাত করা হয়েছে। আমাদের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে ঠিকই, কিন্তু এটা মেনে নেওয়া যায় না।”

এবিষয়ে যৌথ প্রস্তাব আনার জন্য সওয়াল করেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অধ্যক্ষকেও অনুরোধ করা হয়। এই নিয়ে মুখ খোলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীও। তাঁর যুক্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে টার্গেট করতে মোদীর সরকার  বিভিন্ন পথ নিচ্ছে।  সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, “সার্বিকভাবে মাদ্রাসাকে বললে ভুল। কোনও ব্যক্তি বা কোনও ছাত্র যদি সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এই নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তাবের কথা স্পিকার করেছে। একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব আসা উচিত। বিজেপি বাদ দিয়ে তাতে সকলেই সম্মতি জানাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। প্রশ্ন হল, মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা সাড়ে চোদ্দোশে বছর ধরে চলে আসছে। কোনও মাদ্রাসায় কোনও নাশকতা, সন্ত্রাস নেই।”

প্রসঙ্গত,   মুর্শিদাবাদ ও বর্ধমানের মাদ্রাসাগুলিকে যুবক-যুবতীদের মগজধোলাইয়ের কাজে ব্যবহার করছে বাংলাদেশি জঙ্গিরা। সম্প্রতি এমনই এক সতর্কবার্তা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাত উল মুজাহিদিন এই মাদ্রাসাগুলিকে ব্যবহার করছে বলে সতর্ক করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। 

জঙ্গিঘাঁটি-অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্ত সুরক্ষায় রাজ্যকে বিপুল অর্থ সাহায্য কেন্দ্রের

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে একাধিক জঙ্গিশিবির চালাচ্ছে জেএমবি। সেই শিবিরে নিয়মিত যাতায়াত করেন লস্কর ই তৈবার কুখ্যাত জঙ্গিরা। শুধু আত্মগোপনের জন্যই নয়, এই এলাকা থেকে সংগঠনে লোকও নিয়োগ করছে তারা। আর এই হচ্ছে মাদ্রাসা ও মসজিদগুলি থেকে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলার মাদ্রাসাগুলিকে মূলত নিশানা করেছে জঙ্গিরা। এছাড়া অসমের মুসলিম অধ্যুষিত জেলাগুলিতেও চলছে একই কায়দায় নিয়োগ। 

 

.