ভুল প্রশ্নের জেরে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা পেল না মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষাও। ৯`র-এ ও ১৪`র-এ দুটি প্রশ্ন ঘিরেই রীতিমত সমস্যায় পড়তে হয় পরীক্ষার্থীদের। একই প্রশ্ন বাংলা ও ইংরাজীতে দু রকম থাকায় বিভ্রান্তি ছড়ায়। যদিও পর্ষদ সভাপতির দাবি দুটি ভাষায় কেউ একই প্রশ্ন দেখে তারপর তার উত্তর করে না ।
এতদিন অবশ্য পর্ষদের তরফে দাবি করা হচ্ছিল বাংলা ইংরাজী দুটি প্রশ্নই দেখে তারপর পরীক্ষার্থীদের উত্তর দেওয়া উচিত। বাংলা ন-এর প্রশ্নে বলা হয়েছে ব্যাসার্দ্ধ অন্যদিকে ইংরাজীতে বলা হয়েছে ব্যাস। বাংলায় ১৪-এ প্রশ্নে বলা হয়েছে বর্গ সেন্টিমিটার অন্যদিকে ইংরাজীতে হলা হয়েছে বর্গ মিটার। একই প্রশ্নের দু জায়গায় দু-রকম কথা থাকায় মঙ্গলবার অঙ্ক পরীক্ষার দিন রীতিমত সমস্যায় পড়তে হল পরীক্ষার্থীদের।
পর্ষদ সভাপতি অবশ্য গোটা বিষয়টিকে নিছক ছাপার ভুল বলে দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, কোনও পরীক্ষার্থী বাংলা ইংরাজী দুটো প্রশ্ন দেখে উত্তর লেখে না।
অথচ এই পর্ষদ সভাপতিই এতদিন ছাত্রছাত্রীদের বারে বারে বাংলা ইংরাজী দুটো প্রশ্ন দেখেই উত্তর লেখার পরামর্শ দিয়ে এসেছেন।
প্রশ্ন ঘিরে যখন বিভ্রান্তি তুঙ্গে তখন অনেকে ফোন করেন প্রষদ সভাপতিকে। সভাপতি নির্দেশ দেন সমস্যা হলে ব্যাসার্দ্ধ নয় ব্যাস ধরে অঙ্ক করতে পারে পরীক্ষার্থীরা। সভাপতির এই নির্দেশ সব স্কুলে পৌঁছায় না । ফলে বিভ্রান্তি আরও বাড়ে। কারণ একটি স্কুলে যখন ব্যাসার্দ্ধ ধরে উত্তর দিচ্ছে পরীক্ষার্থীরা তখন অন্য স্কুলে ব্যাস ধরে পরীক্ষা দিচ্ছে আরেকদল পরীক্ষার্থী। একদিকে ভুল প্রশ্ন তার ওপর এক এক স্কুলে এক এক রকম নির্দেশ। সব মিলিয়ে অঙ্ক পরীক্ষা শেষ হল একরাশ বিভ্রান্তি দিয়ে।
রক্ষা পেল না মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষাও