কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: যাদবপুরের প্রথমবর্ষের ছাত্র মৃত্যু নিয়ে এবার সরব কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। ছাত্র মৃত্য়ুর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করে আজ হেফাজতে পেয়েছে পুলিস। সেইসব অভিযুক্তদের গাড়িতে তোলার সময় আঙুল দেখিয়ে কুত্সিত অঙ্গভঙ্গী করে এক পড়ুয়া। এনিয়ে বিস্ফোরক মদন মিত্র।
আরও পড়ুন-টাকা দিয়ে প্রাথমিকে চাকরি, মুর্শিদাবাদের ৪ শিক্ষককে জামিন আদালতের
কামারহাটির বিধায়ক বলেন, এরপর যদি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে মেয়েদের বিবস্ত্র করে তার পর যদি হাল্লাবোল বলে মিছিল তোলে তাহলে আমি আশ্চর্য হব না। বলবে এটা হল সবচেয়ে বড় সভ্যতা। ওই তো ছেলেরা মিডল ফিঙ্গার দেখাচ্ছে, আমরা জামাকাপড় ছেড়ে হাল্লাবোল করছি। ব্যাস! তাহলে কী হবে, সমাজ লজ্জা পেয়ে যাবে? কোথায় সুয়ো মোটো বিচার?
আগামী ২৫ অগাস্ট মুক্তি পেতে চলেছে হরনাথ চক্রবর্তীর রোমাণ্টিক কমেডি ফিল্ম 'ওহ লাভলি'। ছবি মুক্তির আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন নবাগত নায়ক ঋক ও নায়িকা রাজনন্দিনী। ছবির মুখ্য আকর্ষণ রাজনীতিবিদ মদন মিত্রের অভিনয়। ছবির গল্পের পাশাপাশি রাজনন্দিনী ও ঋকের মুখে শোনা গেল যাদবপুর কান্ড নিয়ে একরাশ উদ্বেগ। সিসিটিভি ও মধ্যমা বিতর্ক নিয়েও মতামত জানিয়েছেন মদন মিত্র।
মদন মিত্র বলেন, আমরা যদি এই কাজ করতাম আমরা তো রাস্তায় বেরোতে পারতাম না। থুতু দিত লোকে। কতবড় বিকৃত মানসিকতা। কোনও মায়ের লাল নেই আটকাবে। সিসিটিভি লাগবেই। যাদবপুর কি আলাদা রাষ্ট্র? দেখলাম শুভেন্দু পুলিসকে গালাগালি দিচ্ছে। কোথায় সেন্ট্রাল এজেন্সি? কোথায় আপনাদের ২০ সদস্যের কমিটি? কোথায় স্মৃতি ইরানি? এতবড় ঘটনারও পরেও সবাই চুপ? কী নোংরামো করেন ওখানে? কত গাঁজা কত মারিজুরানা আছে? আছে তো ২৫টা লোক। তুলে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া যায় গঙ্গায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসীম ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিচ্ছেন। কেউ লজ্জায় যাদবপুরের নাম বলতে পারছে না। এরা রাস্তায় বেরোতে পারবে না। ছাদে উঠতে পারবে না। শকুন ঠোকরাবে। মিডল ফিঙ্গার? দরকার হলে মিলিটারি নামিয়ে বেআইনি বহিরাগতদের গর্ত থেকে বের করতে হবে।
উল্লেখ্য, ওই ছাত্রের মৃত্যু তদন্তে ধৃত সৌরভ চৌধুরী-সহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন খোদ পুলিস কমিশনার। ওই ঘটনায় ধৃত নতুন ৩ পড়ুয়াকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। গতকালই নাসিম আখতার, হিমাংশু কর্মকার ও সত্যব্রত রাইকে গ্রেফতার করা হয়। এদের একজন বর্তমান পড়ুয়া ও বাকী ২ জন প্রাক্তনী।
ওই তিনজনের পুলিস হেফাজত নিয়ে সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য়, এরা সফল অপরাধী কিন্তু ব্যর্থ অভিনেতা। ঘটনার সময় এরা ছিল। গোটা অপরাধের সঙ্গে এরা জড়িত। এরা বারবারই তদন্তকে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। একেক সময় একেক রকম কথা বলছে। একটা ছেলের উপরে এমন অত্যাচার হল যে তার মৃত্য়ু হল। সেই অপরাধটা তারা সফলতার সঙ্গে সংঘটিত করল। কিন্তু পুলিসের কাছে যখন বিষয়টি এল তখন তাদের অভিনয়ের ফাঁকফোকরটা ধরা পড়ে যাচ্ছে। এটা একেবারে অর্গানাইজড় ক্রাইম। যে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের সবাই ওই মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
মিডল ফিঙ্গার! প্রয়োজনে সেনা নামিয়ে বহিরাগতদের গর্ত থেকে বের করতে হবে