JU Student Death: যাদবপুরের ছাত্রের মৃত্যুতে ধৃত ৩ জনের পুলিসি হেফাজত, জিজ্ঞাসাবাদ খোদ পুলিস কমিশনারের
JU Student Death: পুলিস সূত্রে খবর, যে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তাতে গোটা ঘটনাক্রম স্পষ্ট। কিন্তু যে ১২ জনকে এখনওপর্যন্ত গ্রেফতার করা হচ্ছে তাদের একে অপরের বক্তব্যের মধ্যে বিস্তার পার্থক্য থেকে যাচ্ছে
পিয়ালি মিত্র ও বিক্রম দাস: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার মৃত্য়ুর ঘটনায় ধৃত নতুন ৩ পড়ুয়াকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। গতকালই নাসিম আখতার, হিমাংশু কর্মকার ও সত্যব্রত রাইকে গ্রেপতার করা হয়। এদের একজন বর্তমান পড়ুয়া ও বাকী ২ জন প্রাক্তণী।
আরও পড়ুন-স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনার পুনর্নির্মাণে চরম অসহযোগিতা, পুলিসকে বিপথে চালানোর চেষ্টা করছে ধৃতরা!
ওই তিনজনের পুলিস হেফাজত নিয়ে সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য়, এরা সফল অপরাধী কিন্তু ব্যর্থ অভিনেতা। ঘটনার সময় এরা ছিল। গোটা অপরাধের সঙ্গে এরা জড়িত। এরা বারবারই তদন্তকে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। একেক সময় একেক রকম কথা বলছে। একটা ছেলের উপরে এমন অত্যাচার হল যে তার মৃত্য়ু হল। সেই অপরাধটা তারা সফলতার সঙ্গে সংঘটিত করল। কিন্তু পুলিসের কাছে যখন বিষয়টি এল তখন তাদের অভিনয়ের ফাঁকফোকরটা ধরা পড়ে যাচ্ছে। এটা একেবারে অর্গানাইজড় ক্রাইম। যে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের সবাই ওই মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
অভিযুক্ত নাসিম আক্তারের আইনজীবী জানান, নাসিম চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন। গত ৭ তারিখে তিনি ফেরেন। ঘটনার সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ নেই। পুলিস যখন ডেকেছে তখনই সে গিয়েছে। এখন পুলিস যাকে পারছে ডাকছে। এদিকে, পুলিসের বক্তব্য সত্যব্রত রাইকে যখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তখন সে বলে ঘটনার সময়ে সে সেখানে ছিল না। কিন্তু তদন্তে এগোতেই দেখা যায় অভিযুক্তরা সবাই ঘটনাস্থলে ছিল। তাদের সামনেই যা হওয়ার হয়েছে।
এদিকে, ওই ছাত্রের মৃত্যুর তদন্তে ধৃত ৩ জনকে লালবাজারে এনে জেরা করা হচ্ছে। তাদের জিজ্ঞাসবাদ করছেন কলকাতা পুলিসের সিপি। সূত্রের খবর, সত্যব্রত, নাসির ও হিমাংশুকে জেরা করছেন পুলিস কমিশনার। জানা যাচ্ছে ওই ছাত্রের মৃত্যু রহস্যের তদন্তে পুলিস অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এর আগে এদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ডিসি, জয়েন্ট সিপি ক্রাইম পদমর্যাদার অফিসাররা জিজ্ঞাসবাদ করেছিলেন। আজ সৌরভ চৌধুরীকে বেশ কিছুক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসবাদ করেন পুলিস কমিশনার। এদিন হিমাংশু, সত্যব্রত ও নাসিরকে হেফাজতে পায় পুলিস। তারপর তাদের সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় সিপির অফিসে। এদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিপি। তদন্তে নেমে পুলিসের হাতে এসেছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। পাশাপাশি জেরায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম তথ্য দিচ্ছে অভিযুক্তরা। সেইসব বয়ান থেকে বেশকিছু বিষয় নিয়ে কথা বলতেই এবার সরাসরি জেরা করছেন কমিশনার।
পুলিস সূত্রে খবর, যে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে তাতে গোটা ঘটনাক্রম স্পষ্ট। কিন্তু যে ১২ জনকে এখনওপর্যন্ত গ্রেফতার করা হচ্ছে তাদের একে অপরের বক্তব্যের মধ্যে বিস্তার পার্থক্য থেকে যাচ্ছে। ঘটনার পুনর্নির্মাণ যখন করা হয় তখনও তাদের বক্তব্য বিপথে চালিত করার মতো বলেই মনে করছে পুলিস। আগামী ২২ আগস্ট বেশ কয়েকজনকে হেফাজতে পেয়েছে পুলিস। তাই ওই সময়ের মধ্যে জাল গুটিয়ে ফেলতে চাইছে পুলিস। জানা যাচ্ছে স্বপ্নদীপ পড়ে যাওয়ার পর সৌরভ চৌধুরী জিবি মিটিংয়ে বলে, যা বলছি শুনে যাও কোনও প্রশ্ন নয়। কোনও পাল্ট প্রশ্ন নয়। ওই কথা স্বীকার করে নিয়েছে সৌরভ চৌধুরী।