মদন মিত্রকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত

অবশেষে রাত ১১.১৫ নাগাদ হাইকোর্টের রায়ের কপি পৌঁছাল আলিপুরে। এসিজেএম বিচারকের এজলাসে পৌঁছাল কপি। মদন মিত্রকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালতের বিচারক। প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা মদন মিত্রকে।

Updated By: Nov 20, 2015, 12:09 AM IST
মদন মিত্রকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত

ওয়েব ডেস্ক: অবশেষে রাত ১১.১৫ নাগাদ হাইকোর্টের রায়ের কপি পৌঁছাল আলিপুরে। এসিজেএম বিচারকের এজলাসে পৌঁছাল কপি। মদন মিত্রকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালতের বিচারক। প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা মদন মিত্রকে।

কার্যত কাজে এল না মন্ত্রিত্ব ছাড়ার কৌশলও।  মদন মিত্রের জামিন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআইয়ের প্রভাবশালী তত্ত্বেই শেষপর্যন্ত সিলমোহর দিল বিচারপতি নিশিথা মাত্রে ও তাপস মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রভাবশালী কাঁটাই শেষপর্যন্ত বিঁধল। মদন মিত্রের জামিন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।  

সারদা কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়ার পরও রাজ্যমন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ১১ মাসের জেল হেফাজতের বেশিরভাগ সময়টাই কেটেছে এসএসকেএম -র প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইটে। এহেন মদন মিত্রের জামিন বাতিল করতে তাঁর প্রভাবশালী তকমাকেই হাতিয়ার করে সিবিআই।

বুধবার দিনভর সওয়াল জবাবে মদন মিত্রের প্রভাব কতটা তা প্রমাণ করার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যান সিবিআই আইনজীবী রাঘবচারুলু।  আর তাঁর মক্কেলের প্রভাবশালী তকমা ঘোচাতে প্রাণপন লড়ে যান মদন মিত্রের আইনজীবীও। সওয়াল জবাব শেষে রায় দেয়নি বিচারপতি নিশিথা মাত্রে ও তাপস মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।  কিন্তু, বিচারপতিরা যে মদন মিত্রের প্রভাবশালী তত্ত্ব মাথায় রাখছেন তার ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট।

মন্ত্রিত্বের চেয়ার যে তাঁর প্রভাবশালী তকমাকেই আরও জোরালো করছে তা ভালোই বুঝতে পারছিলেন মদন মিত্র। ড্যামেজ কন্ট্রোলে বুধবার রাতেই মদনের পদত্যাগপত্র  গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু,শেষরক্ষা হল না। বৃহস্পতিবার  সওয়াল-জবাবের শুরুতেই আরও একবার প্রভাবশালী  তকমাতেই মদন মিত্রকে বেঁধেন সিবিআই আইনজীবী রাঘলচারুলু। তিনি বলেন,"সারদাকাণ্ড সামাজিক অপরাধ। কোনও একজন জামিনে থাকলে, যদি তা সমাজের ক্ষতি করে তাহলে তাকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেওয়া উচিত।"

এরপর নিম্ন আদালতের রায় খারিজের আর্জি জানান তিনি বলেন, নিম্ন আদালতের নির্দেশ একতরফা, বেআইনি। ওই রায় খারিজ করা হোক। সওয়াল করতে উঠে  মক্কেলের পদত্যাগের প্রসঙ্গ একবারও তোলেন নি মদনের আইনজীবী এসকে কাপুর। দুপক্ষের সওয়াল জবাব শেষে দীর্ঘক্ষণ নিজেদের মধ্যে আলোচনা সারেন নিশিথা মাত্রে ও তাপস মুখোপাধ্যায়।

মদন মিত্রের জামিন খারিজের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। জামিন খারিজ রোখার জন্য শেষচেষ্টা করেন মদন মিত্রের আইনজীবী। তিনি বলেন, মদন মিত্রকে আত্মসমর্পণের  জন্য ৭দিন সময় দেওয়া হোক।তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখা হোক। কিন্ত,তা ধোপে টেঁকেনি। মদন মিত্রের আইনজীবীর শেষ আর্জিও খারিজ করে দেয়  ডিভিশন বেঞ্চ।  রায়ের কপি হাতে পাওয়া মাত্রই মদন মিত্রকে নিম্নআদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।

.