ক্রাইস্ট স্কুলকাণ্ডে পুলিসের ভূমিকার প্রতিবাদে ১৯ সেপ্টেম্বর রাজ্যের সব মিশনারি স্কুল বন্ধ
১৯ সেপ্টেম্বর রাজ্যের সব মিশনারি স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল মিশনারি স্কুলগুলির অ্যাসোসিয়েশন। ঘটনার দিন ক্রাইস্ট চার্চ স্কুলে পুলিসের ভূমিকার প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত। পুলিস নিষ্ক্রিয় ছিল বলেই এতবড় ঘটনা ঘটে গেল বলে মনে করছে অ্যাসোসিয়েশন।
১৯ সেপ্টেম্বর রাজ্যের সব মিশনারি স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল মিশনারি স্কুলগুলির অ্যাসোসিয়েশন। ঘটনার দিন ক্রাইস্ট চার্চ স্কুলে পুলিসের ভূমিকার প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত। পুলিস নিষ্ক্রিয় ছিল বলেই এতবড় ঘটনা ঘটে গেল বলে মনে করছে অ্যাসোসিয়েশন।
অধ্যক্ষকে যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তার নিন্দা করা হয়েছে। অবিলম্বে অধ্যক্ষার মুক্তির দাবিও জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন। ঘটনার প্রতিবাদে আইএসসি, সিবিএসই স্কুলগুলিকে উনিশে সেপ্টেম্বর স্কুল বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়েছে মিশনারি স্কুলগুলির অ্যাসোসিয়েশন।
রাইস্ট চার্চ স্কুলে হামলায় পুলিসের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। হামলার অভিযোগে ২ জন অভিভাবক এবং এরজন স্থানীয় বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। হামলায় যুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পুলিস কেন স্কুলের অধ্যক্ষাকে গ্রেফতার করল, কেনই বা তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হল, সে প্রশ্নের জবাব মেলেনি। যেমন জবাব নেই, হামলার সময় কেন হাত গুটিয়ে ছিল পুলিস, সেই প্রশ্নেরও।ক্রাইস্ট চার্চ স্কুলে তখন চলছে বেপরোয়া হামলা।
মৃত ছাত্রী ঐন্দ্রিলার বাবা বারবার ভাঙচুর বন্ধের আবেদন করেছেন, কেউ কানে তোলেনি। সেখানে হাজির পুলিস তখন স্রেফ দর্শক। কার নির্দেশে পুলিস হাত গুটিয়ে ছিল? পুলিস সূত্রেই খবর, নির্দেশটা এসেছিল ওপর মহল থেকে। দিনভর নিষ্ক্রিয় থাকা পুলিস কিন্তু স্কুলের অধ্যক্ষাকে গ্রেফতারের পরে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সাজাতে যথেষ্ট সক্রিয়। জোর করে আটকে রাখা, আঘাত করা, হুমকি, তোলা আদায়, সংগঠিত অপরাধে সামিল হওয়া, এমনকী আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও স্কুলের অধ্যক্ষার বিরুদ্ধে এনেছে পুলিস। স্কুলের ছাত্রী, প্রাক্তনী, অভিভাবকরাও অধ্যক্ষার মুক্তির দাবি তুলে বলছেন, অধ্যক্ষা স্কুলে শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টা করছিলেন।
ঐন্দ্রিলা উঁচু ক্লাসের ছাত্রীদের একশো টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে শৌচাগারে আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। স্কুলের ছাত্রীরা অবশ্য বলছে অন্য কথা। ঐন্দ্রিলার পরিবার স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাশাপাশি চিকিত্সা বিভ্রাটে মৃত্যুর আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন। ছোট্ট ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর কারণ কি, তা এখনও স্পষ্ট নয়। চিকিত্সকের বিরুদ্ধে তদন্তই হয়নি, কিন্তু অধ্যক্ষার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা সাজিয়ে ফেলল পুলিস। কেন? শনিবার ঐন্দ্রিলার বাড়িতে গিয়ে সে প্রশ্ন তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও।
পুলিসকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে স্কুল পরিচালন সমিতিও। অধ্যক্ষার পদত্যাগপত্র গ্রহণে অস্বীকার করে পরিচালন সমিতি জানিয়েছে, চাপের মুখে পদত্যাগে বাধ্য করানো হয়েছে তাঁকে। দ্রুত অধ্যক্ষার মুক্তি চেয়েছে পরিচালন সমিতিও। পুলিসের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠছে বুঝেই হয়তো, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, টেলিভিশন চ্যানেলের ছবি দেখে হামলায় যুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে। নির্দেশটা দিয়েছেন শনিবার, অধ্যক্ষাকে গ্রেফতারের দুদিন পরে।