Calcutta High Court: বিচারপতির বাড়ির সামনে পোস্টার! হাইকোর্টে এজলাস বয়কটের ডাক আইনজীবীদের
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর এবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্তা। এদিন তাঁর এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীদের একাংশ। বাদ গেল না ধস্তাধস্তিও!
অর্ণবাংশু নিয়োগী ও রণয় তেয়ারি: বাড়ির সামনে পোস্টার। হাইকোর্টে এবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্তারের এজলাস বয়কটের ডাক দিলেন আইনজীবীদের একাংশ। চলল বিক্ষোভ, ধস্তাধস্তি! সমস্ত মামলার শুনানি মুলতুবি রেখে এজলাস থেকে বেরিয়ে গেলেন বিচারপতি।
ঘটনাটি ঠিক কী? ছবির উপর লেখা 'শেম'! পাশে লেখা, 'বিচারব্যবস্থার নামে লজ্জা! রাজশেখর মান্থা'। এদিন সকালে হাইকোর্টের বিচারপতির বিরুদ্ধে পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে যায় কলকাতার যোধপুর পার্ক এলাকা। যোধপুর পার্কেই থাকেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্তা। তাঁর বাড়ির দেওয়ালে অবশ্য কোনও পোস্টার লাগানো হয়নি।
বিচারপতির বিরুদ্ধে পোস্টার
-------
'শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়ে দেওয়া হল, এমনকি, তাঁর বিরুদ্ধে নতুন কোনও অভিযোগ দায়ের করার ব্যাপারেও জারি করা হল নিষেধাজ্ঞা'।
'বিচারপতি হয়ে নিজেই বসবাস করছেন বেআইনি সম্পত্তিতে'।
'অথচ, মধ্যরাতে ইডি-র হাতে লাঞ্ছিতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকার ন্যায্য রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নিলেন বিচারপতি মান্থা'।
নেপথ্যে কারা? পোস্টারে কারও নাম নেই। রাতের অন্ধকারে কারা পোস্টার লাগিয়েছে, তা বলতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় লেক থানার পুলিস। বিচারপতি মান্তার বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলে তারা। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্তে নেমেছেন গোয়েন্দারা।
এদিকে বেলায় যখন হাইকোর্টে পৌঁছন, তখন বিচারপতি রাজাশেখর মান্তার এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আইনজীবীদের একাংশ। বিচারপতি মান্তার এজলাস বয়কটের ডাক দেন তাঁর। এমনকী, বাম সমর্থিত আইনজীবী শামিন আহমেদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতেও জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভরত আইনজীবীরা। শেষপর্যন্ত সমস্ত মামলা শুনানি মুলতুবি ঘোষণা করেন বিচারপতি এবং এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান।
কেন এমন পরিস্থিতি? হাইকোর্টের বিচারপতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল। চুপ করে বসে নেই বার অ্যাসোসিয়েশনও। প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছে তারা। চিঠিতে আর্জি, 'বিচারপতি মান্তার এজলাস থেকে পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত মামলাগুলি সরানো হোক'। এর আগে, হাইকোর্টের আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। টানা ২১ দিন তাঁর এজলাস বয়কট করেছিল বার অ্যাসোসিয়েশন।