R G Kar Medical College: ময়নাতদন্তের জন্য রাখা দেহ ব্যবহার হল ওয়ার্কশপে! গুরুতর অভিযোগ আরজি কর-এর বিরুদ্ধে

ওই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুতর বিষয় হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, ময়না তদন্তের জন্য যেসব দেহ এসেছিল তা আইনের অধীনে থাকা দেহ। স্বাভাবিকভাবে ময়না তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ যেসব তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা সেগুলো নষ্ট হতে পারে

Updated By: Jan 9, 2023, 04:46 PM IST
R G Kar Medical College: ময়নাতদন্তের জন্য রাখা দেহ ব্যবহার হল ওয়ার্কশপে! গুরুতর অভিযোগ আরজি কর-এর বিরুদ্ধে

মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: ডাক্তারি পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য আনা দেহ। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে। মৃতের পরিবারকে এক্ষেত্রে কোনওভাবে জানানো হয়নি।  আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, গত ৫ জানুয়ারি ক্যাডাভেরিক ওয়ার্কশপের নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। মোট ৫টি দেহ ওয়ার্কশপের পর ফিরিয়ে আনা হয় মর্গে। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে ফরেন্সিক মেডিসিন ও ইএনটি-র বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন- পঞ্চায়েত ভোটের আগে ১৬৫০০ হোমগার্ড নিয়োগ রাজ্যের! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শুভেন্দুর

অভিযোগ উঠেছে আর জি কর হাসপাতালে যেসব দেহ ময়না তদন্তের জন্য আসে সেখান থেকে ৫টি মৃতদেহ পরিবারকে না জানিয়ে সেইসব দেহ চলে গিয়েছিল ইএনটি বিভাগের ওয়ার্কশপের জন্য। অথচ ওই ওয়ার্কশপে যাওয়ার কথা ছিল চিকিত্সার জন্য দান করা দেহ। অ্যানাটমি বিভাগ থেকে মৃতদেহ যাওয়ার কথা ছিল। অথচ মৃতদেহ গেল ময়নাতদন্তের জন্য রাখা মর্গ থেকে। সেইসব দেহ রিসিভ করলেন ইএনটি বিভাগের একজন আরএমও। চলল ওয়ার্কশপ। কাজ শেষে সেইসব দেহ ফিরিয়ে নিয়ে আসা হল মর্গে। ময়না তদন্ত করার পর সেই দেহ তুলে দেওয়া হল পরিবারের হাতে।

এদিকে ওই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুতর বিষয় হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, ময়না তদন্তের জন্য যেসব দেহ এসেছিল তা আইনের অধীনে থাকা দেহ। স্বাভাবিকভাবে ময়না তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ যেসব তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা সেগুলো নষ্ট হতে পারে। এটি এক ধরনের নিয়মভাঙ্গা। পাশাপাশি মৃত্যুর পরও মরদেহের ডিগনিটিতে আঘাত করা হয়েছে এভাবে মরদেহ ব্যবহার করে। সবকিছু হয়েছে আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজের অধ্যক্ষের নির্দেশেই। এমনটাই এখনওপর্যন্ত অভিযোগ উঠছে। গোটা ঘটনা নিয়ে ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রবীর চক্রবর্তীর বক্তব্য, গোটা বিষয়টি জেনে নিয়ে মন্তব্য করব।

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, গত ৩০ ডিসেম্বর ইএনটি বিভাগের তরফে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল অধ্যক্ষকে। সেখানে বলা হয়, ক্যাডাভেরিক ওয়ার্কশপের জন্য ৬টি মৃতদেহের প্রয়োজন। এনিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ। তবে যাদের পরিজনের দেহ ব্যবহার করা হয়েছে সেরকম একজনের বক্তব্য, দেহ ময়না তদন্ত ছাড়া অন্য কাজে ব্যবহার করা হবে এমন কোনও কথা আমাদের বলা হয়নি।

মানবাধিকার কর্মী রঞ্জিত শূর এনিয়ে বলেন, মারাত্মক অভিযোগ। এরকম কোনও জিনিস কোনও সরকারি হাসপাতালে হতে পারে তা ভাবাই অকল্পনীয়। এভাবে পোস্ট মর্টেমের দেহ বের করে নিয়ে গিয়ে ওয়ার্কশপ করা হয় তাহলে পোস্ট মর্টেমের মানে কী! শুধুমাত্র মারা যাওয়ার সঙ্গেই দেহের গুরুত্ব শেষ হয়ে যায় না। সেটিকে যথেষ্ট সম্মান দিয়েই শেষকৃত্য করা হয়। তার আগে এসব কেন। এতে তো ময়না তদন্তের বিশুদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন থেকে গেল।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.