নোনাডাঙা: সব ধৃতের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ লালবাজারে

পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলনরতদের মুক্তির দাবিতে নোনাডাঙা বস্তির বাসিন্দাদের বিক্ষোভে রবিবার সন্ধ্যার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লালবাজার চত্বর। এদিন সকালে রুবি মোড়ে বস্তি উচ্ছেদের প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন উচ্ছেদ হওয়া বস্তিবাসীরা।

Updated By: Apr 8, 2012, 09:18 PM IST

পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলনরতদের মুক্তির দাবিতে নোনাডাঙা বস্তির বাসিন্দাদের বিক্ষোভে রবিবার সন্ধ্যার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লালবাজার চত্বর। এদিন সকালে রুবি মোড়ে বস্তি উচ্ছেদের প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন উচ্ছেদ হওয়া বস্তিবাসীরা। পুলিসি অনুমতি না-নিয়ে অবস্থানের অভিযোগে ৬৯ জনকে আটক করে পুলিস। সন্ধ্যাবেলা এদের মধ্যে ৬২ জনকে ব্যক্তগত জামিনে ছেড়ে দেওয়া হলেও সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রের জানা যায়।
সকালে বস্তিবাসীদের সঙ্গেই আটক করা হয়েছিল এপিডিআর, মাতঙ্গিনী মহিলা সমিতি এবং উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদেরও। আটক ৬৯ জনের মধ্যে ৬২ জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও দেবলীনা চক্রবর্তী, সিদ্ধার্থ গুপ্ত, অভিজ্ঞান সরকার, দেবযানী ঘোষ, মানস চ্যাটার্জি, শমীক চক্রবর্তী এবং পার্থসারথী রায়কে গ্রেফতার করা হয়। সমস্ত ধৃতদের মুক্তির দাবিতে এর পর লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ দেখায় আন্দোলনকারীরা। ধৃতদের বিরুদ্ধে সবার বিরুদ্ধেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস।
গণ-সংগঠনের কর্মীদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী মহাশ্বেতা দেবী বলেন, "গণতান্ত্রিক দেশে এরকম হয়। যাদের ধরা হয়েছে, তাদেরকে ছেড়ে দিলেই ভাল হয়। আমার বিশ্বাস সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। সরকার সহানুভুতিশীল হলে, তবেই মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে। মানুষের সহযোগিতাও পাবে।"
অন্যদিকে, পুরমন্ত্রীর কাছ থেকে পুনর্বাসনের আশ্বাস না পেলে বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়ে দিলেন নোনাডাঙার উচ্ছেদ হওয়া বস্তিবাসীরা।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার নোনাডাঙায় উচ্ছেদ হওয়া বস্তিবাসীদের রুবি মোড়ে বিক্ষোভ মিছিলে লাঠি চালিয়েছিল পুলিস। আহত হয়েছিলেন ১০ জন। আহতদের মধ্যে ছিলেন এক ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। এমনকী বুধবার পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পরিদর্শনে গেলেও, উচ্ছেদ হওয়া বস্তিবাসীদের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে দেখাও করেননি মন্ত্রী। রবিবারের বিক্ষোভের পিছনে মাওবাদী প্রভাবিত সংগঠন এবং সিপিআইএমের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন পুরমন্ত্রী।

.