তিন মাসে ১কোটি ৫০ লক্ষ টাকার তেল পুড়েছে কর্পোরেশনের গাড়িতে
ত্রিফলার পর গাড়ির তেল খরচের টাকা নয়ছয়। ফের কাঠগড়ায় কলকাতা পুরসভা। তিন মাসে হিসাব বর্হিভূত গাড়ির তেল খরচ এককোটি ৫০ লক্ষ টাকা। পুরসভার অডিট রিপোর্টেই উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। ত্রিফলার পর ফের তেল চুরির দুর্নীতি অস্বস্তি বাড়িয়েছে মেয়র থেকে পুর আধিকারিকদের।
ত্রিফলার পর গাড়ির তেল খরচের টাকা নয়ছয়। ফের কাঠগড়ায় কলকাতা পুরসভা। তিন মাসে হিসাব বর্হিভূত গাড়ির তেল খরচ এককোটি ৫০ লক্ষ টাকা। পুরসভার অডিট রিপোর্টেই উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। ত্রিফলার পর ফের তেল চুরির দুর্নীতি অস্বস্তি বাড়িয়েছে মেয়র থেকে পুর আধিকারিকদের।
ত্রিফলা দুর্নীতির পর নয়া দুর্নীতির অভিযোগে ফের কাঠগড়ায় কলকাতা পুরসভা। এবার গাড়ির তেলের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ। কলকাতা পুরসভার অডিট রিপোর্টেই উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। জুলাই, অগাস্ট, সেপ্টেম্বর মাত্র এই তিন মাসের অডিট রিপোর্টেই উঠে কোটি টাকা নয়ছয়ের হিসাব। ৩০ পাতার অডিট রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে প্রতি মাসে ৫০ লক্ষ টাকা জ্বালানী তেলের খরচের কোনও হিসাব নেই। তিন মাসে হিসাব বর্হিভূত তেলখরচ এককোটি ৫০ লক্ষ টাকা। কলকাতা পুরসভার অধীন মোট ছটি অয়েল গ্যারেজ স্টোরে জ্বালানী তেলের খরচ নিয়েই তৈরি হয়েছে অডিট রিপোর্ট। ছটি গ্যারেজ স্টোরের মধ্যে রয়েছে গোড়াগাছা রোডের ডিস্ট্রিক্ট ফোর গ্যারেজ স্টোর, বৈঠক খানা রোডে ডিস্ট্রিক্ট টু গ্যারেজ স্টোর, সেন্ট্রাল গ্যারেজ অয়েল পাম্প স্টোর, ধাপা গ্যারেজ,চিংড়িহাটা গ্যারেজ, গ্রে স্ট্রিটে ডিস্ট্রিক্ট ওয়ান গ্যারেজ স্টোর। অডিট রিপোর্টে যে যে অসঙ্গতি ধরা পড়েছে সেগুলি হল-
১. একই গাড়িতে পেট্রোল ও ডিজেলের জন্য দুবার করে খরচ দেখানো হয়েছে। ২. পুরসভার নথিভুক্ত গাড়ির তালিকায় নেই এমন গাড়ির জন্যও প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকার তেল খরচ দেখানো হয়েছে। ৩. লগ বুক মিলিয়ে দেখা গেছে যে গাড়িগুলির জন্য তেল খরচ হয়নি সেই সব গাড়ির জন্যও তেল খরচ দেখানো হয়েছে। ৪. নির্দিষ্ট দূরত্বে গাড়ি চালানোর পর গাড়িতে যে তেল থাকা অনেক গাড়িতেই সেই তেল থাকছে না।
অডিট রিপোর্টে এই সব অসঙ্গতি উঠে আসায় বেশ অস্বস্তিতে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার রাত নটা পর্যন্ত এ নিয়ে পুরকর্তারা নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক করেন। তবে এনিয়ে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে তা জানা যায়নি। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা তেল দুর্নীতি কাণ্ডে সর্ষের মধ্যেই রয়েছে ভুত। তাই প্রকৃত দোষীকে খুঁজে বের করতে হলে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়ের দশা হবে পুরসবার। তাই আপাতত এনিয়ে মুখে কুলুপ পুরকর্তাদের।