`দেখে নেওয়ার` হুমকিতে গুন্ডারাজ কলকাতাতেও
রাজ্য প্রশাসনের খাস তালুক কলকাতাতেও আছড়ে পড়ল হামলার থাবা। মুখ্যমন্ত্রী ও শিল্পমন্ত্রীর সংযত থাকার আবেদনে কান না দিয়ে ভাঙচুর চালানো হল একাধিক কার্যালয়ে। যাঁরাই প্রতিবাদ করতে গিয়েছেন, তৃণমূল কর্মীদের হাতে তাঁদের মার খেতে হয়েছে বলে অভিযোগ।
রাজ্য প্রশাসনের খাস তালুক কলকাতাতেও আছড়ে পড়ল হামলার থাবা। মুখ্যমন্ত্রী ও শিল্পমন্ত্রীর সংযত থাকার আবেদনে কান না দিয়ে ভাঙচুর চালানো হল একাধিক কার্যালয়ে। যাঁরাই প্রতিবাদ করতে গিয়েছেন, তৃণমূল কর্মীদের হাতে তাঁদের মার খেতে হয়েছে বলে অভিযোগ।
সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর প্রতিবাদে মঙ্গলবার দিল্লিতে এসএফআই সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী সহ চার মন্ত্রী। হেনস্থা করা হয় অর্থমন্ত্রীকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় `সিপিআইএমকে দেখে নেওয়ার` কথা বললেও পরে অবশ্য তিনি শান্তির আবেদন জানান। কিন্তু ততক্ষণে সন্ত্রাসের আগুন জ্বলা শুরু হয়ে গেছে রাজ্যে। হামলার থাবা আছড়ে পড়ে কলকাতাতেও।
যাদবপুর, বেলেঘাটায় সিপিআইএম কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দুজন সিপিআইএম কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। রবীন্দ্রপল্লি, সুকান্তনগর বাঘাযতীন রোড সহ বিভিন্ন জায়গায় সিপিআইএমের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙচুর চলে ট্যাংরা, মুরারিপুকুরের দলীয় কার্যালয়েও। নেতাদেরও মারধর করা হয়।
বেলেঘাটা সিআইটি রোডে ফরওয়ার্ড ব্লকের একটি কার্যালয়েও চালান হয়। ট্যাংরা থানার আটান্ন নম্বর ওয়ার্ডে বৈশালী সিনেমাহলের পাশে তৃণমূলের মিছিল চলাকালীন হামলা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় তিনজন বামকর্মী আহত হয়েছেন।
এখন প্রশ্ন, রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতরের খাস তালুকেই যদি হামলা আর আতঙ্কের ছবিটা এরকম হয়, তাহলে দূরের জেলাগুলিতে কী ঘটছে? আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দলকে কী করে নিয়ন্ত্রণ করেন, সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।