পুলিসি ফরমানে ভিক্টোরিয়া থেকে বিদায় ঘোড়ার গাড়ির
ভিক্টোরিয়া চত্ত্বরে আর দেখা যাবে না ঘোড়ার গাড়ি। মঙ্গলবার সমস্ত ঘোড়ার গাড়ি সরিয়ে দিয়েছে কলকাতা পুলিস। দু`জন ঘোড়ার গাড়ির মালিককে আটক করা হয়েছে। পুলিসের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে আর ঘোড়ার গাড়ি রাখা যাবে না।
ভিক্টোরিয়া চত্ত্বরে আর দেখা যাবে না ঘোড়ার গাড়ি। মঙ্গলবার সমস্ত ঘোড়ার গাড়ি সরিয়ে দিয়েছে কলকাতা পুলিস। দু`জন ঘোড়ার গাড়ির মালিককে আটক করা হয়েছে। পুলিসের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে আর ঘোড়ার গাড়ি রাখা যাবে না। কিন্তু মালিকদের দাবি, ভিক্টোরিয়া মতো ঘোড়ার গাড়িও কলকাতার ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্যকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে এমনই খাঁ খাঁ চেহারা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের। বেবাক উধাও শহর কলকাতার খুব চেনা ঘোড়ার গাড়ির সারি। কিন্তু ঘোড়াগুলো সব গেল কোথায়? কেনই বা রাতারাতি নিরুদ্দেশের পথে যাত্রা করল ভিক্টোরিয়ার অশ্বকুল?
শোনা যাচ্ছে, ভিক্টোরিয়া চত্ত্বরে নিয়মিত ভ্রমণ শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়। আর তাই ওই এলাকায় দুর্গন্ধ কমাতে পুলিসের এই তড়িঘড়ি উদ্যোগ। ইতিমধ্যেই ভিক্টোরিয়া চত্ত্বর থেকে ৪টি ঘোড়াকে আটক করে ময়দান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উচ্ছেদ হওয়া অন্য ২৫টি ঘোড়ার ঠাঁই হয়েছে হেস্টিংস এলাকার একটি মাঠে। প্রচণ্ড গরমে খোলা মাঠে ঘোড়াগুলি অসুস্থ হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ। উচ্ছেদের আগে সরকারের তরফে বিকল্প কোনও বন্দোবস্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ।
ময়দানে ফিটন চেপে হাওয়া খেতে যাওয়ার বাবুবিলাস সাবেক কলকাতায় রীতিমতো দস্তুর ছিল। সে ঐতিহ্য কিছুটা হলেও টিকে ছিল ওই ভিক্টোরিয়া অঞ্চলেই। সপরিবার ঘোড়ার গাড়িতে একপাক-- আর মিলবে না। কুইন ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিসৌধ থেকে `রয়্যাল ক্যাভেলরি`-র এবার ফেয়ারওয়েল হয়ে গেল।